কনটেন্ট ম্যাজিক: বিলিয়ন ডলার মার্কেট বিজয়ের গল্প

কনটেন্ট ম্যাজিক: বিলিয়ন ডলার মার্কেট বিজয়ের গল্প

একটা বড় কোম্পানীর মার্কেটিং গেইম নিয়ে গল্প বলবো, যা পড়ে শিখতে পারবেন, আপনার বিজনেসের গ্রোথের জন্য কোন ধরনের কনটেন্ট বেশি জরুরী। পুরো গল্পটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন, না বুঝলে আবার পড়বেন।

ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন্স কোম্পানি British Airways এর দখলে রয়েছে লন্ডনের বড় একটা মার্কেট শেয়ার। কিন্তু ব্রিটেনের এত বড় কোম্পানীর খুবই করুন দশা হচ্ছে নর্থ আমেরিকাতে। নর্থ আমেরিকার মাত্র ৩% মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে British Airways কে চয়েজ করে।  অফার দিয়ে, মার্কেটিং এ অনেক খরচ বাড়িয়েও কোন ভাবেই মার্কেট ধরতে পারছিলোনা তারা।

 তারা মার্কেটিং এর দায়িত্ব সরিয়ে এবার নতুন একটা এজেন্সিকে তাদের সেল বাড়ানোর দায়িত্ব দিলো। দায়িত্ব পেলো, বিখ্যাত মার্কেটিং এজেন্সি Oglivy।

Ogilvy ১ম কাজটাই করলো আগে সব ডাটা নিলো। যা অ্যানালাইস করলে মার্কেটিং পরিকল্পনা সাজানো সম্ভব হবে। তারা নর্থ আমেরিকা থেকে উড়ে যাওয়া সব ফ্লাইটের ডাটা নিয়ে স্টাডি করা শুরু করল। প্রাপ্ত ডাটা থেকে তারা যে কয়টি বিষয়কে মার্ক করলো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে: 

১। নর্থ আমেরিকা থেকে উড়ে যাওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে ৯০% এর গন্তব্য হচ্ছে ভারত।

২। নর্থ আমেরিকা থেকে শুধুমাত্র ভারতে যে পরিমান ফ্লাইটে যাতায়াত হচ্ছে, তার মূল্য ২ বিলিয়ন ডলার। 

৩। এই যে ৯০% ফ্লাইটের গন্তব্যই ভারত, এই ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের মাত্র ৩% ব্রিটিশ এয়ারে করে ট্রাভেল করছে। আসল মাইরটা খাচ্ছে, ভারতে ট্রাভেলেই।

এই ডাটা পেয়ে এবার সেগুলো নিয়ে অ্যানালাইস শুরু। অ্যানালাইস করতে গিয়ে দেখা গেলো, অন্য ফ্লাইট কোম্পানী গুলো এ ডাটা মাথাতে রেখেই আগের থেকে কাজ করে যাচ্ছে, শুধুমাত্র ৯০% ভারতীয় যাত্রীদের আকর্ষণ করার জন্যই বিভিন্ন অফার দিচ্ছে, কনটেন্ট বানাচ্ছে। ভারতীয় মেয়েকে দিয়ে শাড়ি পরিয়ে অভিনন্দন জানানোর মতো কিছু ছবি দিয়েই প্রচারনা চালাচ্ছে।

এই বাজার দখল করতে হলে একই পথে হেটে বেশি কিছু করা যাবেনা, কিছুটা ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইন ও কনটেন্ট প্লান করতে হবে।

এমন কোন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে,

  • যা মানুষের অ্যাটেনশন নিতে পারবে খুব ভালোভাবে
  • যেটার ভিজুয়্যালটা সম্ভাব্য ক্রেতার মনে জায়গা দখল করে নিবে
  • এমন কনটেন্ট যা নিয়ে মানুষ অনেক আলোচনা করবে, শেয়ার করবে,

এ ৩টা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কনটেন্ট নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তার পর Ogilvy এমন একটা ক্যাম্পেইন স্টার্ট করল যা নর্থ আমেরিকা থেকে উড়ে যাওয়া সব ভারতীয় যাত্রীদের অন্তরকে নাড়া দেয়, আর সেই সাথে একটা অফারও দিয়ে দিল।

কি ছিলো সেই ক্যাম্পেইন?

 সেই ক্যাম্পেইনের নাম ছিল “A Ticket to Visit Mom” — 

পুরো ভিডিওটি ছিলো এরকম:

একজন মা, যার ছেলে ১৭ বছর বয়সে আমেরিকা চলে যায়, তাকে কে বলা হয় আপনি আপনার ছেলের প্রিয় ডিশটি রান্না করুন, আমরা ব্রিটিশ এয়ার সেটা আপনার ছেলের কাছে নিয়ে যাব।

তো, ভদ্রমহিলা সেই ডিশটি রান্না করে তার ছেলের জন্য, রান্না করার সময় তার ছেলের অনেক স্মৃতি তিনি বলতে থাকেন। আর একি সাথে অপেক্ষা করতে থাকেন ব্রিটিশ এয়ারের লোকের জন্য যে কিনা তার রান্না করা খাবার ছেলের জন্য নিয়ে যাবে।

কিন্তু সেই মা কে অবাক করে দিয়ে সেই দিন ব্রিটিশ এয়ারের কোন লোক আসে নি খাবার নিতে। এসেছিল সেই মহিলার ছেলে নিজেই। ছেলে কে দেখে মা চিৎকার করে কেঁদে দেয়।

ভিডিওটা প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য এতটাই ইমোশনাল ছিলো যে, সেই ভিডিওটি তখন পর্যন্ত নর্থ আমেরিকায় সবচেয়ে ভাইরাল হওয়া কোন প্রোমোশন ছিল। আর পুরো দুনিয়ার ৪র্থ ভাইরাল হওয়া ভিডিও ছিল মনে হয়।

এই ইমোশনটা প্রত্যেক প্রবাসীদের মনে এমনভাবে জায়গা করে নেয় যে, ওই কনটেন্টের কারনে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে সব প্রবাসীদের মনে আলাদা জায়গা দখল করে নেয়।

আর এই ভিডিও ভাইরাল হবার পরই শুরু হয় একটার পর একটা নতুন অফার ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের। আর বাড়তে থাকে তাদের সেলস। 

শুধুমাত্র এ কনটেন্ট এবং ক্যাম্পেইনের কারনে সেলস বেড়েছিল কত টুকু জানেন?

 বেশি না মাত্র ৬৫%, হ্যাঁ যেখানে তাদের সেলস ছিল না বললেই চলে সেখানে তাঁরা সেলস বাড়িয়েছিল ৬৫% আর ৩৮% নর্থ আমেরিকার বিমানযাত্রী তখন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের যাত্রী হয়ে যায়, যা পূর্বে ছিল মাত্র ৩%।

কীভাবে করল এই কাজ Ogilvy?

  • ডাটা এনালাইস করে জানতে পারলো ৯০% বিমানযাত্রী ভারতীয় প্রবাসী। তাই ভারতীয়দের সাইকোলজি মাথাতে রেখে কনটেন্ট প্লান করলো।
  • ইমোশন কে কাজে লাগিয়ে কনটেন্ট তৈরি করেছিল 
  • আর ভাইরাল করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া কে ব্যবহার করেছিল।

কত সিম্পল, ব্যস, খেলা শেষ।

মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার জন্য শুধু ইমোশনাল কনটেন্টই যে করতে হবে তা নয়। মানুষের আরও কিছু ইমোশন রয়েছে। সুখ, বিস্ময়, ভয়, হাসি ইত্যাদি যেকোনটা জাগ্রত করার মত কনটেন্ট তৈরি করলেই মানুষের মনে ব্রান্ডটার নাম গেথে যায়। জাস্ট এভাবেই চিন্তা করে কনটেন্ট তৈরি করেই আজকে সবাই বড় ব্রান্ড হয়েছে। 

কনটেন্ট কিং অ্যাজেন্সি থেকে বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের জন্য বানানো উল্লেখযোগ্য সব ভিডিও বিজ্ঞাপন এক প্লে লিস্টে আপলোড করা রয়েছে। কনটেন্টগুলো দেখলে কনটেন্ট সম্পর্কে আইডিয়া নিতে পারবেন।
লিংক: https://cutt.ly/Pw8R9dTu

এভাবেই বড় ব্র্যান্ডগুলো তাদের মার্কেটিং প্ল্যান করে দেখেই তাদের ব্যবসা এত দূর প্রসারিত হয়। এত বড় বিজনেস করতে পারে। আপনাদের ফোকাসগুলো কিসের উপর থাকে বলেনতো? এই লিখাটি পুরোটা পড়ে কি বুঝতে পেরেছেন, আপনাদের ভুলটা কোথায়?

প্রোডাক্ট দেখিয়ে বলতে হবে, এটা প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট, প্রোডাক্টকে নিয়ে বর্ণনা দিতে দিতে ১০ মিনিট সময় ব্যয় করতে হবে, তাইতো? অ্যাড টার্গেটিং ঠিক করতে হবে, বাজেটিং ঠিক করতে হবে, এগুলোতেই ফোকাস। আর যারা সফল হয়েছে, তারা কিসে ফোকাস ঠিক করে বড় সেল নিয়ে আসতে পারছে, সেই পার্থক্য কি, ধরতে পেরেছেন?

ক্যামেরার সামনে বসে বসে প্রোডাক্ট নিয়ে বিশাল বর্ণনা দিতে হবে, তাইতো?

এ ধরনের কনটেন্ট নিয়ে বিজ্ঞাপনগুলো যখন আপনার সামনে আসে, কতবার আপনার সামনে দিয়ে ঘুরলে পড়ে সেই ভিডিও ক্লিক করে দেখেন বলেনতো? এরকম ভিডিও আসলে কয়টা ভিডিও আপনি ক্লিক করে দেখেন প্রতিদিন, সেটাও একটু জিজ্ঞাসা করেনতো নিজের মনকে? কনটেন্টের কি কি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে, সেটা উপরে বলেছি, সেটা মাথাতে রেখে কনটেন্ট তৈরি করেন, তাহলেই সফল হবেন, ইনশাআল্লাহ।

বিজনেস গ্রোথ নিয়ে আড্ডা জমুক নিচের গ্রুপে: https://www.facebook.com/groups/storexbd/

...See More
একটি অব্যর্থ সেলস ক্যাম্পেইন প্লান

একটি অব্যর্থ সেলস ক্যাম্পেইন প্লান

ফিল্টার মেশিন ঠিক করার বিজনেস করছেন, উনি ২টা ভিডিও বানিয়ে অ্যাড চালাচ্ছেন। কিন্তু ডলার বার্ণ করেই যাচ্ছেন, অর্ডারের কোন খবরই নাই। খুব হতাশ হয়ে নক দিলেন। কাঁদো কাঁদো কন্ঠে অনুরোধ , সহযোগীতা করার। তাকে দেওয়া পরামর্শগুলো আপনার যেকোন বিজনেসের সেলস এর ভুলগুলোর সাথেই মিল খুজে পাবেন, তাই ধৈয্য ধরে পুরোটা লিখাটা পড়ে শেষ করুন।

তার ভিডিও কনটেন্ট টপিকস:

কেউ কি তার ফিল্টার মেশিন ক্লিন করার কিংবা ফিল্টার সম্পর্কিত কোন সমস্যার জন্য কোন টেকনিশিয়ান খুজছেন?

কনটেন্ট নিয়ে টেস্টিং বলতে, এ মেসেজকেই বার বার বিভিন্নভাবে ভিডিওতে প্রেজেন্ট করছেন। কোনটাতেই কোন লাভ হচ্ছে না।

টেস্টিং এ এবার ভুলগুলো:

-      একই টপিকসটাকেই বিভিন্নভাবে প্রেজেন্ট করে টেস্টিং চালাচ্ছেন। যেটা উচিত ছিলো, বিভিন্ন টপিকস নিয়ে কনটেন্ট করে টেস্টিং করা।

-      যেহেতু অনেকেই এমন ট্রেন্ড বানিয়ে ফেলছে, কনটেন্ট মানেই ভিডিও হতেই হবে। তাই উনি কনটেন্ট এর অন্যান্য ফর্মূলাগুলো ট্রাই করছেনা, অর্থাৎ ইমেজ কনটেন্ট দিয়ে ট্রাই করছেইনা।

তার সেলস ক্যাম্পেইনে কি কি ভুল ছিলো, যার জন্য তার সেল আসছেনা, সেটা একদম লিখার শেষে যুক্ত করবো। একই ভুল আপনারাও করছেন, তাই সেই পার্টটুকু পড়া শেষ না করে উঠবেননা।

 ফলাফলের জন্য একটু ভিন্ন টাইপ পরামর্শ:

-      জাস্ট একটা ইমেজ পোস্ট বানাতে বললাম। যেটা কখনওই মনে হবেনা, প্রোডাক্ট মার্কেটিং পোস্ট। কেমন হবে, সেটা? ইমেজে লিখতে হবে, পানি বিশুদ্ধ করার জন্য আপনি কোন পদ্ধতি অনুসরণ করেন? জরিপে অংশগ্রহন করতে ফর্মটি পূরণ করুন।

-      এবার, ফর্মটাতে যা যা পয়েন্ট থাকবে: নাম, মোবাইল নং, ইমেইল, পানি ফিল্টার করার ৩টা পদ্ধতির (পানি ফুটানো, pure it, water purifier filter) কোনটা আপনি ব্যবহার করেন? শেষ কবে আপনি পানি ফিল্টার মেশিনটা ক্লিন করেছেন?

-      এ ফর্ম থেকে কারা ডিরেক্ট কলের সাথে লাগানো ফিল্টার মেশিনটা ব্যবহার করছে, এবং শেষ কবে ক্লিন করা হয়েছে, সেই ডাটাটি পেয়ে যাবে। আবার কারা সেই মেশিন ব্যবহার করছেনা, তাদের লিস্টটাও পেয়ে যাবে। এই ডাটা পাওয়ার ক্যাম্পেইনটার পিছনে অ্যাড বার্ণ করতে হবে।

-      এবার যারা মেশিনটা ব্যবহার করছেন, তাদেরকে SMS মার্কেটিং করতে হবে। SMS এর মাধ্যমে মার্কেটিং না, একটু caring টাইপ SMS ক্যাম্পেইন করতে হবে। মেসেজ হবে: ঘরের ফিল্টারটি ২ মাসের বেশি চেঞ্জ করা হয়ে না থাকলে এটা আপনার পরিবারের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারন হবে। এই মেসেজে কোন ধরনের অ্যাড হবেনা, জাস্ট তার বিজনেস প্রতিষ্ঠানের নামটা প্রমোট করতে হবে। ‍SMS পাঠানোর ৩-৫ দিন পর কল করতে হবে। সেটাতে সার্ভিস অফারটা দিয়ে কথা বলবে। সেলস কনভার্ট হবে।

-      SMS যেদিন পাঠানো হলো, তার ২দিন আগে থেকে, ওই ডাটাকে টার্গেট করেই অ্যাড চালাতে হবে, অ্যাড চালাতে উনার আগের করা ভিডিওটি ব্যবহার করতে হবে।

সেই ব্রান্ডটি কোন কোন স্তরে সম্ভাব্য ক্রেতার মনে নক করছে, আরও একবার দেখে নিই।

-      জরিপ চালানোর সময় সেই ব্রান্ডকে দেখলো, সেখানে কোন প্রমোশনাল কিছুই ছিলোনা।

-      জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি একদম Narrow অডিয়েন্সকে টার্গেট করে ফেসবুক অ্যাড চালাতে হবে। সেই অ্যাডটা প্রমোশনাল কনটেন্ট হবে।

-      SMS পেলো Caring টাইপ। জাস্ট খোজ খবর নেওয়ার মত। এটাতেও প্রমোশনাল কনটেন্ট থাকবেনা। কিন্তু এটার মাধ্যমে ওই ব্রান্ডের নামটা আবারও চোখের সামনে পড়বে।

-      তারপর টেলি মার্কেটিং। এখানে সেলস অফার। আরও closely কথাবার্তা হবে। এবার এ ৪র্থ স্টেপে এসে আবারও এ ব্রান্ডের থেকে নকটা পেয়ে, তাদের ফিল হবে, এটা একদম unknown কারও অফার নয়। সেই ব্যক্তিটির কাছে এ ব্রান্ডটি পরিচিত একটি ব্রান্ড থেকে কথাবার্তাতে সে পজিটিভ থাকবে, এবং কনভার্ট রেসিওটা বেড়ে যাবে।

এখানে যা যা পরামর্শ দিয়েছি, সবই কুইক সেলস জেনারেট করার জন্য ক্যাম্পেইন প্লান। লং টাইমের জন্য, বিজনেসকে বড় করার জন্য, বিজনেসকে নিয়ে ব্রান্ডিং করার জন্য আলাদা পরামর্শ দিয়েছি, সেটা এখানে যুক্ত করছিনা আর।

বিজনেস সেলস গতি বৃদ্ধি করার কার্যকরী ট্রিকস

বিজনেস সেলস গতি বৃদ্ধি করার কার্যকরী ট্রিকস

আপনার বিজনেসের সেলস গতি স্লো হয়ে গেছে?বিজনেসের সেলস গতি বৃদ্ধি করতে চাইলে নিচে দেওয়া টিপসগুলো অনুসরণ করুন।

১) কনটেন্ট টপিকসকে গুরুত্ব দিন: আপনার প্রোডাক্ট নিয়ে মানুষ কি ভাবছে সেটা খুজে পাবেন, সেই নিশ রিলেটেড জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপগুলোতে। আপনার কনটেন্ট কতটা কনভার্সন নিয়ে আসবে, সেটাতে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কনটেন্ট টপিকস। যে টপিকস নিয়ে ৯০ জন কনটেন্ট বানিয়েছে, সেটাকে সিলেক্ট না করে এমন টপিকস খুজুন, যেটা নিয়ে মাত্র ১০ জন বা আরও কম মানুষ কথা বলছে।

২) কনটেন্টে বৈচিত্র নিয়ে কাজ করুন: কনটেন্ট এর মধ্যে নাটকীয়তা, ফান যুক্ত করে কনটেন্ট তৈরি করুন। মানুষ যাতে কনটেন্টটা নিয়ে অনেকক্ষন মাথাতে রেখে ভাবে। ইমেজ, ভিডিও, আর্টিকেল সব টাইপ কনটেন্ট তৈরি করুন, মানুষ সব টাইপ কনটেন্টের স্বাদ পাবে।

৩) নিজস্ব অডিয়েন্স তৈরিতে মনোযোগ দিন: মানুষ যাতে সেলসম্যানের বাহিরেও আপনার আরেকটা পরিচয় আবিস্কার করতে পারে , সেটা টার্গেট করে সেলস পোস্টের বাহিরেও কিছু কনটেন্ট তৈরি করুন। অর্থাৎ যাতে কোন একটা বিষয়ে অভিজ্ঞ, সেই পরিচয়টা তৈরি হয়। ধরেন, আপনি চিয়াসিড বিক্রি করেন। চিয়াসিড ওজন কমাতে হেল্প করে। তাহলে আপনার পেইজে ওজন কমানোর টিপস নিয়ে ১০টা কনটেন্ট তৈরি করেন, ৩টা ওজন কমাতে চিয়াসিডের ভুমিকা নিয়ে কনটেন্ট বানাবেন। রেজাল্ট পাবেন ম্যাজিকের মত।

৪) রিকমেন্ডেশন বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিন: হ্যাপী ক্লায়েন্ট, আপনার বিজনেসের সাথে জড়িতদের রিকমেন্ডেশন, ইন্ড্রাস্ট্রিতে যাদেরকে মানুষ বেশি ফলো করে তাদের রিকমেন্ডেশন পাওয়ার জন্য কিছু ক্যাম্পেইন প্লান করুন।

৫) ল্যান্ডিং পেইজে আরও মনোযোগ দিন: ল্যান্ডিং পেইজে এসে যাতে সব তথ্য অনেক বেশি সহজে দেখতে পারে, এবং বোরড না হয়, সেটা মাথাতে রেখে ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করুন। অনেক ল্যান্ডিং পেইজ দেখা যায়, লোড হতেই অনেক সময় লেগে যায়। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মোবাইল ব্যবহারকারী। তাই মোবাইল ফ্রেন্ডলি এবং লোডিং টাইম যাতে একদমই কম লাগে সেটি নিশ্চিত করুন। অনেকেই অর্ডার করতে গিয়ে ফিরে যায়, শুধুমাত্র অর্ডার প্রসেসটা জটিল হওয়ার কারনে। সেলস বৃদ্ধি করতে ল্যান্ডিং পেইডে অর্ডার প্রসেসটাও সহজ করুন।

আপনি যেই কনটেন্ট তৈরি করে মানুষের নজরে আপনার ব্রান্ডকে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন, সেই মেসেজগুলো পৌছাইতে ফেসবুক অ্যাডস, আর ফেসবুক পেইজ ব্যবহার করছেন। মাত্র এ দুটো চ্যানেলের উপর নির্ভর করলে সেলস বাড়বে না। ফেসবুক অ্যাডস, ফেসবুক পেইজ ব্লগ, ফেসবুক গ্রুপ, রিলস, ইউটিউব, টিকটক, ব্লগসহ আরও চ্যানেল বৃদ্ধি করুন। যত বেশি চ্যানেলের মাধ্যমে আপনার ব্রান্ডের কনটেন্ট দেখতে পাবে মানুষ, ততই আপনার সেলস বৃদ্ধি পাবে, সেলস স্মুথ হবে।

...See More
নতুন বিজনেসের জন্য ৮টি বিষয় অবশ্যি জানা প্রয়োজন

নতুন বিজনেসের জন্য ৮টি বিষয় অবশ্যি জানা প্রয়োজন

নতুন বিজনেসের ৮ টি বিষয় অবশ্যই জানা প্রয়োজনএকটি নতুন বিজনেসের বিভিন্ন স্টেইজ থাকে, আমার মতে, ৫০% স্টাবল পর্যায়ে যেতে একটি নতুন বিজনেসের মিনিমাম ৩ বছর সময় প্রয়োজন। এই ৩ বছরের মধ্যে আমার কাছে ৮ টি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, যা একটার সাথে একটা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।

১) ফ্রী মার্কেটিং স্ট্রেটেজিঃ এই টা সম্পূর্ন নির্ভর করে সেলস ডিপার্টমেন্টে যে কাজ করে তার উপর। একটি স্টার্টআপ বিজনেসের বাজেট অনেক কম থাকে। তাই ফ্রি মার্কেটিং স্ট্রেটেজিতে কাজ করতে পারলে অনেক ইনভেস্ট বেচে যায়, প্রজেক্ট প্রফিট, সার্ভিস প্রফিট, নিট প্রফিট বেড়ে যায়। যা দিয়ে নেক্সট আরও অনেক মাস কোম্পানি টিকিয়ে রাখা সম্ভব। ক্লায়েন্টকে অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে সার্ভিস বা প্রোডাক্ট অফার করা সম্ভব, যার সুবাধে যে ক্লাইন্ট একবার আমাদের সাথে কমিনিকেশন করে সার্ভিস বা পণ্য ক্রয় করার জন্য সে আর পিছুপা হয় না।

২) ম্যানেজমেন্টঃ যেকোনো কোম্পানিতে ম্যানেজমেন্ট একটি বড় ফেক্টর। সেলস ডিপার্টমেন্ট আপনাকে ১০ কোটি টাকা এনে দিলো কিন্তু এই ১০ কোটি কিভাবে ম্যানেজ করবেন, কোন খাতে খরচ করা উচিত, কোন খাতে খরচ করলে রিস্ক বেড়ে যাবে। কোম্পানির ব্যাকআপ কত রাখা উচিত। কোন জায়গায় কোম্পানি বড় ইনভেস্ট করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আবার, অফিশিয়াল টিম মেম্বারদের ম্যানেজ করা, তাদের সুবিধা অসুবিধা দেখা। দক্ষ টিম মেম্বার রিক্রুটমেন্ট করা। সব কিছুই যদি ম্যানেজমেন্ট ঠিক ভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে এখানে সব ডিপার্টমেন্ট ভালো পারফরমেন্স করলেও কোম্পানির কোন উন্নতি হবে না। কারণ দিনশেষে দেখা যাবে কোম্পানির ফান্ড বিগ জিরো এবং নেক্সট ১-২ বছর স্ট্রাগল করার মতো কোম্পানির কাছে কোন ফান্ড ই খালি নেই। সব খরচ হয়ে গিয়েছে ভুল ডিসিশনের কারণে।

৩) সার্ভিস বা প্রোডাক্ট এর ফোকাস ঠিক রাখাঃ স্টার্টআপ কোম্পানির অন্য আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে জাম্প করা। যেমনঃ আপনি হয়তো ড্রাই ফুড নিয়ে বিজনেস করছেন, কিছু দিন পর দেখলেন অনেকেই ড্রেস চাচ্ছে, ড্রেস এর উপর ফোকাস করে সব অ্যাফোর্ড দেওয়া শুরু করলেন, আর সেই সাথে ১ বছর ধরে যে ড্রাই ফুডের উপর ফোকাস রেখে এত সময় অর্থ ব্যয় করলেন, সেই প্রোডাক্টকেই এখন অবজ্ঞা করা শুরু করলেন। কিন্তু দিন শেষে দেখা যাবে, দুটি প্রোডাক্টের কোনটিতে আর ভালো বিজনেস আসছে না।তাই স্টার্টআপ বিজনেসে ফোকাস ধরে সামনে এগিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর, কোন প্রডাক্ট সেল যখন স্টাবল পর্যায়ে যাবে তখন নতুন আরেকটি প্রোডাক্ট নিয়ে প্রমোশন শুরু করা যায় কিন্তু তা অবশ্যয় মেইন প্রোডাক্ট বা সিগনেচার প্রোডাক্টের এর ফোকাস নস্ট করে নয়।

৪) ঝুঁকি নিতে ভয় না পাওয়া : স্টার্টআপ কোম্পানির প্রথম ৩ বছরে এমন এমন সব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় যেন কোম্পানি এই মাসেই অফ হয়ে যাবে। তখন মনোবল ঠিক রেখে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ ঝুঁকি নিতে ভয় পেলে আপনার কোম্পানি কখনো স্টার্টআপ ট্যাগ থেকে বের হতে পারবে না। তবে জেনে-বুঝে এমন ঝুঁকি নেওয়া যাবে না যে, এই জায়গায় ইনভেস্ট করলে ৯৯% লস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই, ৫০ ৫০ সম্ভাবনাতে ঝুঁকি নেওয়া যায়।

৫) ব্যার্থ হতে পারে এমন মনোভাব নিয়ে কাজ করা : সব স্ট্রেটেজি ই যে সফল হবে তা কিন্তু নয়। তাই যেকোনো স্ট্রেটেজি/প্রজেক্টে ইনভেস্ট করতে হলে ব্যর্থ হতে পারে এমন মনোভাব আগে থেকেই তৈরী করে রাখতে হবে। ব্যার্থ হওয়ার পর কাউকে দোষারপ করা যাবে না। ভুল বের করে তা সলিউশন করতে হবে যাতে সেইম ভুল পরবর্তিকালে আর না হয়।

৬) দক্ষ টিম মেম্বার তৈরী করা : প্রতিটি দক্ষ টিম মেম্বার - এক একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার। অক্সিজেন সাপ্লাই কমে গেলে যেমন একটি মানুষের বেচে থাকার সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমে যায়, তেমনি একটি কোম্পানির দক্ষ টিম মেম্বার কমতে থাকলে ঐ কোম্পানির গ্রোথ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এবং একটা সময় পর কোম্পানি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। তাই কোম্পানির অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে হবে। ১ জন দক্ষ টিম মেম্বার ১০ জন অদক্ষ টিম মেম্বার থেকে শতগুণ ভালো।

৭) কোয়ালিটি সার্ভিস /রিকোয়ারিং ক্লাইন্টঃ সেলস, ম্যানেজমেন্ট, দক্ষ টিম মেম্বার সব কিছুই আছে কিন্তু আপনার সার্ভিসের কোয়ালিটি এভারেজ পর্যায়ে বা অন্য কমপিটিটর থেকে অনেক খারাপ। তাহলে আপনার কোম্পানি সাময়িক সেল পেলেও, লং টাইম গ্রোথ এ যেয়ে আটকে যাবে। এবং আপনার রিকোয়ারিং ক্লাইন্ট এর সংখ্যা ০% এর মধ্যে চলে আসবে। যা একটি কোম্পানির গ্রোথকে আটকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

৮) ব্যাকআপ মানিঃ মনে করুন, আপনার কোম্পানি এমন এক পর্যায়ে চলে গেলো যে এই মাসে স্যালারি দেওয়ার টাকাও উঠে নি। তাহলে কি কোম্পানির শাটার অফ করে দিবেন ?? আর যদি পকেট থেকে ইনভেস্ট করেন তাহলে কয় মাস ?? কারণ, ধরুন আপনার কস্টিং মাসে প্রায় ৬ লাখ, তাহলে ??এখানেই আপনার ব্যাকআপ মানি কাজে লাগবে, কোম্পানি এমনভাবে ধীরে ধীরে গ্রোথ করবেন যাতে, আগামী ১ বছরও যদি আপনার কোন সেলস না থাকে তাহলে কোম্পানি স্মুথলি চালাতে পারেন।

...See More
হানিনাটস এর এত বড় ব্যর্থতা নিয়ে ভেবেছেন কখনও?

হানিনাটস এর এত বড় ব্যর্থতা নিয়ে ভেবেছেন কখনও?

আপনারা যারা বিজনেস করছেন কিংবা শুরু করবেন, তারা নিজেরা আগে খুজে বের করবেন দুটো প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তর খুজে পেলেই সেলস এর সঠিক পদ্ধতি শিখতে পারবেন। তাহলে বিজনেসে টিকে থাকতে পারবেন, বড় হতে পারবেন। স্বপ্নের পিছনে জুয়াড়িদের মত ছুটলে সব হারিয়ে নি:স্ব হতে সময় লাগবেনা।

বিজনেস করার টার্গেট করলে একটা অতিরিক্ত গোপন চোখ রেডি করতে হয়। মার্কেট আপনাকে যা দেখাবে, সেটা যে মার্কেটিং করার জন্য দেখাচ্ছে, সেটা উপলব্ধি করার ক্ষমতা তৈরি হবে। মার্কেট যা দেখাচ্ছে না বা গোপন রাখছে, সেই দিকটা দেখাবে আপনার অতিরিক্ত গোপন চোখ।

মার্কেট আপনাকে দেখাচ্ছে, অন্যরাতো একদম গরীব থেকে উঠে এসে বিজনেস শুরু করে অনেক সেল করতেছে, অনেক টাকা কামিয়ে ফেলতেছে। ৫০ লাখ টাকা সেল করে ফেলছে, কত নিচের থেকে উঠে গেলো, তাহলে আপনি পারবেন না কেন?আপনার ব্যবসায়ি অতিরিক্ত গোপন চোখ তখন এ বিষয়টাতেই অনেক যদি, কিন্তুর প্রশ্ন উত্তর খোজা শুরু করবে। গত ৩ বছরে সবচাইতে বেশি যেটা নিয়ে বিজনেস করেছে মানুষ সেটা হচ্ছে, হানি নাটস।

হানি নাটস বিজনেস নিয়ে এবার যে প্রশ্ন আসা ‍উচিত, সেটা দেখে নেই। দেখেনতো এ প্রশ্নটা কখনও আপনার মনে জেগেছে কিনা?

প্রশ্ন-১:

হানিনাটস বিক্রির জন্য মনে হয় বাংলাদেশে সবচাইতে বেশি অ্যাড তৈরি হয়েছে, ফেসবুকে অ্যাড খরচ করা হয়েছে। হতে পারে, গত ৩বছরে সবচাইতে বেশি অনলাইন উদ্যোক্তা হানি নাটস নিয়ে বিজনেস করেছে। এরপরও হানিনাটস এর মত এত চমৎকার উপকারী একটা প্রোডাক্ট কেন আপনার আমার পরিচিত কারও পরিবারেরই নিয়মিত খাবার তালিকাতে যুক্ত হতে পারলো না? হানিনাটসের যা যা কাজ করে, একই কাজের প্রোডাক্ট হচ্ছে হরলিকস। যারা লিখাটা পড়তেছেন, তারা স্মৃতি হাতড়িয়ে খুজে বের করে একটু কমেন্ট করে জানাইয়েনতো, আপনার পরিচিত যত মানুষের বাসাতে হরলিকস নিত্য খাবার তালিকাতে যুক্ত ছিলো, সেই স্বাস্থ্য সচেতন কয়টা পরিবার হানিনাটসকে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে তাদের পরিবারের খাদ্যতালিকাতে যুক্ত করেছেন? আমি এটা লিখার আগে প্রায় ১০০ জনের মত মানুষের থেকে তথ্য নিয়েছি, তারা কেউ হানিনাটস খায়না, কিংবা তার পরিচিত কেউই হানিনাটস খাচ্ছেনা।

অথচ স্মৃতি হাতড়িয়ে যতটা মনে পড়ে, অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারগুলোও তার সন্তানের পরীক্ষার মাসে অনেক কস্ট করে এই হরলিকস কিনে তার আদরের সন্তানকে এটা খাওয়াইতো। আর স্বচ্ছল পরিবারের প্রায় সব পরিবারেই এটা নিয়মিত খাওয়া হতো।

তাহলে এত এত ডলার অ্যাড খরচ করে , এত এত উদ্যোক্তা মার্কেটিং করার পরও হানিনাটসকে কারও পরিবারের খাদ্যতালিকাতে যুক্ত করা গেলো না কেন? যেখানে হরলিক্স মামলা খেয়ে এখন বাজারে নাই। এই ফাঁকা বাজারটাতে রিপ্লেসমেন্ট প্রোডাক্ট হিসেবেওতো হানিনাটসের সকলের ঘরে ঢুকার সুযোগটা অনেক বেশি ছিলো। কেন এই ব্যর্থতা, এটা কি কখনও আপনাকে ভাবিয়েছে? যদি এটা আপনাকে না ভাবায়, আজকে থেকে ভাবেন, না হলে আপনার বিজনেস প্রোডাক্টের সেলস খরচ অনেক বেড়ে যাবে।

প্রশ্ন-২:

প্রশ্ন-১ অনুযায়ি আপনি যদি আপনার আশেপাশের, নিকট আত্নীয়, বন্ধুবান্ধব কারও ঘরেই হানিনাটস দেখে না থাকেন, তাহলে কেন বর্তমানে বলা হচ্ছে যে, হানিনাটসের নাকি বাজার শেষ? কারও ঘরেইতো এখনও এ প্রডাক্ট খাদ্যতালিকাতে যুক্ত হলো না। তাহলে কেন শুনছেন যে হানি নাটসের বাজার  এখন আর নাই। এটা নিয়ে আর বিজনেস করে লাভ নাই।

এ প্রশ্নের উত্তরগুলো খুজে পাওয়ার আগে নিজের বিজনেস ডেভেলপ করার জন্য ১ টাকাও খরচ কইরেন না। তাহলে সেটা রিটার্ন কম আসবে।

মার্কেটিং এর কোন ভুল টেকনিকের কারনে হানিনাটস সবার ঘরে না ঢুকলেও হরলিকস সবার ঘরে জায়গা করে নিয়েছিলো, সেটা খুজে বের করার জন্য মনের ভিতর প্রশ্ন নামক পোকার কিলবিলটা শুরু করেন। বিজনেস করতে নিজের সাইকোলজি স্ট্রং করা, অন্ধভাবে কাউকে না মেনে সিচ্যুয়েশনকে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে হয়। প্রয়োজনে হানিনাটস খেয়ে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে নিন।

আমি এখানে খুব বেশি কিছু বলবো না। বর্তমানে অত্যাধিক প্রচলিত মার্কেটিং টেকনিকের ১৫টা ভুল নিয়ে ১৫ পর্বের সিরিজ কনটেন্ট আসবে দিবো। যারা সেই কনটেন্ট পেতে চান, তারা স্টোরেক্স অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে থাকুন। স্টোরেক্স এর হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হয়ে থাকতে পারেন, তাহলে সেখানে পেয়ে যাবেন আপনার বিজনেস গ্রোথ সম্পর্কিত সাজেশন টিপস।

সেই সিরিজের পোস্ট আসার আগে হরলিকসের বিজ্ঞাপনগুলো দেখে আসেন। ইউটিউবে সার্চ লিংকটা দিলাম।

https://www.youtube.com/results?search_query=%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8+%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8

হানিনাটসের বিজ্ঞাপনতো দেখেছিলেন, এখানে রয়েছে প্রিমিয়াম নাটস আরও কত কি.. ”প্রিমিয়াম” শব্দটা ব্যবহার করে হানিনাটস ক্রেতার মাইন্ডে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হলেও হরলিকস “stronger, taller, sharper" এ ৩টি শব্দ ব্যবহার বাংলাদেশের সব মানুষের টপ অব মাইন্ডে জায়গা করে নিতে সফল হয়েছে। এখান থেকে বুঝে নেন, আপনার বিজনেসের জন্য কোন শব্দটা ব্যবহারটা করলে সফল হতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন যে শুধু ডিরেক্ট সেলস না,বিজ্ঞাপন যে মগজে গিয়ে সেট হয়ে থাকে আর লং টার্মে ব্র‍্যান্ডকে এগিয়ে রাখে তা হরলিকস করে দেখিয়েছিল।

 মার্কেটিং ভুলের সিরিজ আসার আগেই একটা ভুল নিয়ে ইতিমধ্যে লিখলাম এখানে। আরও ১টা ভুল নিয়ে লিখে এ লেখাটাকে আরেকটু বড় করতে বাধ্য হচ্ছি।

২য় ভুল:

সেলস কাউন্ট নিয়ে ভুল শিক্ষা যা বিজনেসটাকে আপনার স্বপ্নটাকে পুরো ডুবাচ্ছে।

যাদের ইতিমধ্যে তৃতীয় চোখ খুলেছে, তারাই পরের অংশ থেকে শিক্ষা নিতে পারবেন।

মনে করেন, আপনি ডেইলি ২০০$ এর ফেবুতে ওয়েবসাইট পারচেজ ক্যাম্পেইন দিয়েছেন আর তাতে এড ম্যানেজার থেকে অর্ডার আসছে দেখলেন ১২০টা। এবার ফোন দিয়ে যখন অর্ডার কনফার্ম করতে যাবেন তখন দেখবেন অর্ডার আছে ৮০টা। এইবার এই ৮০টা যখন শিপ করবেন তখন দেখবেন ডেলিভারি হইছে ৬৬-৭০টা। তাহলে আপনি ২০০ ডলারে কিন্তু সেলস পাইলেন ৭০টা।

এবার আরও হিসেব আছে, ঐযে ১০টা ফেরত আসছে সেখানে একটা খরচ আছে যা আপনার পকেট থেকেই কাটা যাবে, তাহলে দেখবেন খরচ করেছেন ২০০$ কিন্তু পকেট থেকে গেলো ২২০$।

 মোদ্দা হিসেবটা হচ্ছে ২২০$ খরচ করে আপনি সেল পেয়েছেন ৭০টা, তাইতো ?

হিসেবের এ ভুলটাই আসলে সকল ব্যর্থতার মূল কারণ!!

আপনি যদি ব্যবসা করতেই আসেন তাহলে এই ৭০টা সেলস না বলে বলবেন ৭০টা কাস্টমার একুইয়ার করেছেন যার রিপিট ভ্যালু আছে। মানে হচ্ছে এর টোটাল লাইফ-টাইম ভ্যালু নিয়ে আপনি কাজ করবেন। পরের মাসে এই ৭০ জন আর চলে যাওয়া ৫০ জন মোট ১২০ জন থেকে সেলস আনবেন ৯০টা- মানে এই ৯০টা সেলস আনার জন্য আপনার বিজ্ঞাপন বাজেট থাকবে না, থাকবে ব্র্যান্ড আর প্রোডাক্ট পারফর্মেন্স। ১২০জন আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে। তারা এখন প্রোডাক্ট কিনেনি। কিন্তু তারা আপনাকে চিনে গেছে। কিরকম চিনেছে। খুব স্মার্ট কোন মেসেজ বা কনটেন্টে মাধ্যমে নাকি কিসের মাধ্যমে, সেটার উপর নির্ভর করে এই ১২০জনের ব্রেইনে আপনার ব্রান্ডটার ভ্যালু কতক্ষণ অবস্থান করবে। সে এখন না কিনলেও তার টপ অব মাইন্ডে আপনার ব্রান্ডের নামটা হরলিকসের মত করে জায়গা করে নিবে। তাহলে এরাই আপনার সেলে কনভার্ট হবে, অন্যকেও রিকমেন্ড করবে।

তাহলে এই ৯০ টা সেলস থেকে আপনি কোন বিজ্ঞাপন খরচ ছাড়াই সেলস নিয়ে আসলেন। আর অ্যাড চালালে নিউ একুইজিশন তো থাকবেই। এরকমভাবে চালিয়ে নিন মাত্র ৬ মাস। খেলা দেখেন কি ঘটে।

হানিনাটস নিয়ে এবার আবার ভাবনা শুরু করেন। এবার দেখেন, কোন উত্তর খুজে পান কিনা। উত্তর পেতেই হবে। না হলে বিজনেসে গোল্লা পাবেন।

...See More
হানিনাটস বিক্রি করেই হতে পারবেন কোটিপতি

হানিনাটস বিক্রি করেই হতে পারবেন কোটিপতি

 বাদাম মস্তিষ্কের বুস্টার খাবারের তালিকার অন্যতম প্রধান উপাদান। আপনার খাদ্যতালিকায় সব ধরনের বাদাম যেমন আখরোট, পেস্তা, বাদাম, অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি আপনার মস্তিষ্কের দৈনিক ডোজ পূরণ করতে পারেন। তবে এর মধ্যে আখরোট মস্তিষ্কের জন্য সবচেয়ে উপকারী কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মস্তিষ্ককে দুর্বল হতে বাধা দেয় 

অথচ এটা হানিনাটসের বিজ্ঞাপনের কোথাও কেউ ব্যবহার করছেই না। এটা ব্যবহৃত হলে সেলস কনভার্সন রেট কত কত গুণ বেড়ে যেতো, কল্পনা করেন একবার।ঠিক একইভাবে যেকোন পণ্য বা সার্ভিসের কোন পেইন পয়েন্ট নিয়ে বেশি কথা বলা উচিত, সেটি না জেনেই অ্যাড রান করলে, কনটেন্ট তৈরি করলে সেলস এ লালবাত্ত্বি জ্বলবেই।

 হানিনাটসে এই পেইন পয়েন্ট নিয়ে কনটেন্ট করলে টার্গেট কাস্টমার হতো:

 টার্গেট কাস্টমার- ১: প্রতিটা শিশু, যারা পড়ালেখার প্রতিযোগীতাতে ১ম হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফাইট করছে।

অ্যাড কপি: ”ক্লাশে ফাস্ট হতে আদরের সন্তানকে সকালে বিকালে হানিনাটস খাওয়ান।”

 টার্গেট কাস্টমার- ২: প্রতিটা ক্রিয়েটিভ ব্যক্তিদের Workplace এ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আইটেম। বড় বড় অফিসগুলোতে এটা এখন খাচ্ছেও, কাজ করতে গিয়ে আমারও খাওয়া হয়েছে।

অ্যাড কপি: ”সিগারেট ছাড়ো, হানিনাটস ধরো, ক্রিয়েটিভ দুনিয়াতে রাজত্ব করো।”

অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ , বেশ চমকপ্রদ লাইনগুলো কেউ ব্যবহার করছেনা । এ লাইনসহ আরও কিছু আইডিয়া ব্যবহার করলে (যেমন: শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই হাড় মজবুতের জন্য নাটস খুবই প্রয়োজন উপাদান) শুধু হানিনাটস বিক্রি করেই মাসে কোটি টাকার বিজনেস করতে পারবেন।

সেলস কনভার্সন খরচ বেশি হওয়ার কারন হচ্ছে, কম গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড, যেগুলোর জন্য মানুষ টাকা খরচ করতে বেশি আগ্রহী হয়না, যেসব কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে, সেসব সমস্যার সমাধানের প্রতিদিনের খাওয়া সকল খাবারেই খুব ভালোই উপাদান রয়েছে।

 বাজারে হানিনাটস এর সেলস এর জন্য যে যে সমস্যার সমাধানের কথা বলা হচ্ছে:

 সমস্যা: যৌন দুর্বলতা কাটাতে হানি নাটস

সেল কনভার্সন কম হওয়ার কারন : মানুষের কাছে লজ্জাজনক খাবার। ঘরে আনলেই মানুষ ভাবে, পাওয়ার কমে গেছে, এ জন্য এটা আনছে। তাই লজ্জাতে আনতে পারেনা।

সমস্যা: গর্ভবতী মায়েদের পুস্টি যোগায়।

সেল কনভার্সন কম হওয়ার কারন : গর্ভবতী মায়েদের পুস্টির জন্য দুধ, শাক খাওয়াচ্ছি। এটাই যথেস্ট। আবার অতিরিক্ত এরকম টাকা খরচ করার কি দরকার।

 সমস্যা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

সেল কনভার্সন কম হওয়ার কারন : দুধ, ডিম, সবজি ঠিক ভাবে খেলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এগুলো কিনার টাকা যোগাড় করতে কস্ট হয়, আবার হানি নাটস কিনতে হবে, ঢং রাখতে যায়গা পায়না।

 সমস্যা: ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রন করে।

সেল কনভার্সন কম হওয়ার কারন : গরুর মাংস, কোক, বাহিরের খাবার বন্ধ করো, ফ্রেশ সবজি খাও, ব্লাড প্রেসার ঠিক হয়ে আসবে। আলগা খরচের দরকার নাই।

 সমস্যা: অনিদ্রা দূর করে।

সেল কনভার্সন কম হওয়ার কারন : বই নিয়ে শুয়ে পড়ো, ঘুম চলে আসবে। এটা বড় ঔষধ। ( এটা ফান করলাম)। এটার জন্য হানিনাটস কিনার কি দরকার। টাকা কি গাছ থেকে পড়ে নাকি?

 সঠিক কীওয়ার্ডটা ব্যবহৃত করতে না পারলে, কোন লাইনটা ব্যবহৃত হলে মানুষ বেশি অ্যাংগেজ হয়, টাকা খরচ করতে আগ্রহী হয়, সেটার ব্যবহার না জানলে অ্যাড খরচ শুধু বাড়বেই। সেলস আসবেনা। তখন ফেসবুক অ্যালগরিদমকে গালি দিয়ে লাভ নাই। ফেসবুক মার্কেটিং করার আগে কাস্টমার সাইকোলজি হ্যাক করার মার্কেটিং স্কীলটা আগে থাকতে হবে। তারপর ফেসবুক মার্কেটিং স্কীল বা ফেসবুক অ্যাডস স্কীল থাকলে সেটাতে আপনি সফল হতে পারবেন। এই সাইকোলজি হ্যাকস এর জন্য দুর্দান্ত সব ট্রিকস মার্কেটাররা ব্যবহার করে। যা হরলিকস ব্যবহার করেছে, এবং তাদের সেলস কনভার্সন ছিলো অনেক অনেক বেশি।

কোটি টাকা ইনকামের স্বপ্নটা না দেখে, আগে সেলস স্কীলটা ডেভেলপ করার স্বপ্নটা দেখুন।

হানিনাটস বিজনেস এর ব্যর্থতার কারণগুলো পড়ে না থাকলে, পড়ে আসুন লিংকটা ক্লিক করে

...See More
New Persoanl Blog For Test

New Persoanl Blog For Test

<p>Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur. Excepteur sint occaecat cupidatat non proident, sunt in culpa qui officia deserunt mollit anim id est laborum."</p>

...See More
ডোমেইন কি? হোস্টিং কি? কত প্রকার কি কি? ভি এম মেশিন কি?

ডোমেইন কি? হোস্টিং কি? কত প্রকার কি কি? ভি এম মেশিন কি?

নতুনরা প্রায়ই আমাদের জিজ্ঞাসা করে, ডোমেইন কি? ডোমেইন নাম কি? হোস্টিং কি? কত প্রকার? ভি এম মেশিন কি? আপনি যদি একজন Beginner হন, তাহলে আপনি হয়তো শুনেছেন যে একটি ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আপনার একটি ডোমেইন দরকার। অনেক Beginners একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইট হোস্টিং Service এর সাথে Domain Name কে বিভ্রান্ত করে। এই Beginner guide এ, আমরা একটি Domain কী, Domain Name কী এবং হোস্টিং কি? কত প্রকার? ভি এম মেশিন কি? তার উত্তর দেব।

ইন্টারনেট হল কম্পিউটারের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক যা একে অপরের সাথে একটি Global network এর মাধ্যমে সংযুক্ত। এই নেটওয়ার্কের প্রতিটি কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তাদের সনাক্ত করার জন্য, প্রতিটি কম্পিউটারকে একটি আইপি ঠিকানা দেওয়া হয়। এটি সংখ্যার একটি সিরিজ যা ইন্টারনেটে একটি নির্দিষ্ট কম্পিউটারকে চিহ্নিত করে।

একটি Typical IP address এইরকম দেখায়: 251.32.637.432

এখন এইরকম একটি আইপি ঠিকানা মনে রাখা বেশ কঠিন। আপনার পছন্দের ওয়েবসাইটগুলো দেখার জন্য আপনাকে যদি এই ধরনের নম্বর ব্যবহার করতে হয় তাহলে, এটি কতটা জটিল হয়ে উঠবে তা কল্পনা করুন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য Domain Name উদ্ভাবিত হয়েছিল।

এখন যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট Visit করতে চান, তাহলে আপনাকে সংখ্যার একটি দীর্ঘ String লিখতে হবে না। আপনি আপনার ব্রাউজারের Address Bar এ একটি ডোমেইন নাম লিখে, আপনি সেই ওয়েবসাইট Visit করতে পারেন । উদাহরণস্বরূপ: www.facebook.com ।

ডোমেইন/ ডোমেইন নাম  কি?

একটি Domain বা Domain Name হল আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা যা, লোকেরা আপনার ওয়েবসাইট দেখার জন্য ব্রাউজার URL বারে টাইপ করে। এক কথায় , একটি Domain Name হল আপনার ওয়েবসাইটের নাম।

সহজ কথায়, যদি আপনার ওয়েবসাইটটি একটি ঘর হতো, তাহলে আপনার ডোমেইন নাম হবে তার ঠিকানা। উদাহরণস্বরূপ, Facebook.com ডোমেইন নামটি ওয়েবসাইটের নাম (Facebook) এবং Domain Name এক্সটেনশন (.com) নিয়ে গঠিত।

একটি ডোমেইন নাম Letter এবং Number যেকোনো সংমিশ্রণ হতে পারে এবং এটি বিভিন্ন Domain Name Extetion এর সমন্বয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন .com , .net এবং আরও অনেক কিছু। একটি Domain Name এ .com, .net, .org, .edu ইত্যাদি বাদ দিয়ে 63 এর বেশি অক্ষর থাকতে পারে না। ডোমেইনের সর্বনিম্ন Length হল এক্সটেনশন বাদ দিয়ে 63 অক্ষর। এটি আপনার Domain Name এর উপর নির্ভর করে, লোকেরা আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু।

ডোমেইন নাম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই নিবন্ধিত হতে হবে। প্রতিটি ডোমেইন নাম অনন্য /Unique। কোন দুটি ওয়েবসাইটের একই ডোমেইন নাম থাকতে পারে না। যদি কেউ www.yourdomainname.com এ টাইপ করে, এটি আপনার ওয়েবসাইটে যাবে এবং অন্য কারো নয়।

https: (Protocol)

www. (Subdomain)

google.com (domain and domain suffix)

আপনি কি জানেন প্রথম Domain কি ছিল?

The first Internet domain name "symbolics.com" was registered by Symbolics, a Massachusetts computer company on March 15, 1985.

হোস্টিং কি?

Hosting হল একটি Service, যা একটি Web Hosting Company প্রদান করে। একটি Web hosting provider ইন্টারনেটে সংযুক্ত বেশ কয়েকটি বড় Web সার্ভারের মালিক। একটি Web server হল একটি বড় Physical কম্পিউটার, যেখানে প্রচুর হার্ড ডিস্ক, অপ্রয়োজনীয় ইন্টারনেট লিঙ্ক, Remote Backups এবং অন্যান্য Service রয়েছে। আপনার Domain নামের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য Web Hosting প্রয়োজন, যাতে আপনার Website ইন্টারনেটে অনলাইনে থাকতে পারে। এটি আপনার ডোমেইন নামের সাথে একসাথে কাজ করে।

Web Hosting কি?

Hosting, “Web hosting বা Website Hosting” নামেও পরিচিত। Web Hosting এমন একটি Service যা, সংস্থা এবং ব্যক্তিদের ইন্টারনেটে একটি Website বা Web page পোস্ট করার অনুমতি দেয়। একটি Web host বা Web hosting Service provider, এমন একটি ব্যবসা যা Website বা Web page কে ইন্টারনেটে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় Technologies এবং Service সরবরাহ করে। Server নামক বিশেষ কম্পিউটারে ওয়েবসাইটগুলি হোস্ট বা সংরক্ষণ করা হয়। যখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা আপনার Website দেখতে চায়, তাদের যা করতে হবে তা হল তাদের ব্রাউজারে আপনার ওয়েবসাইটের Address বা Domain টাইপ করতে হবে। তাদের কম্পিউটার তখন আপনার সার্ভারের সাথে সংযুক্ত হবে এবং আপনার Webpage গুলি তাদের কাছে ব্রাউজারের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে। যদি আপনার কোন ডোমেইন না থাকে, তাহলে হোস্টিং কোম্পানিগুলো আপনাকে একটি ক্রয় করতে সাহায্য করবে।

একবার আপনি একটি Domain Name কিনে নিলেন, এরপর আপনার ওয়েবসাইটের Content (HTML, CSS, ছবি, ডাটাবেস ইত্যাদি) ফাইলগুলিকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত একটি ওয়েব সার্ভারে একসাথে সংরক্ষণ করতে হবে। একবার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলি একটি হোস্টিং কোম্পানির ওয়েব সার্ভারে আপলোড হয়ে গেলে, Host ব্যবহারকারীদের কাছে ফাইলগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য দায়ী।

Domain এবং Hosting এর মধ্যে পার্থক্য:

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে আপনার একটি Domain Name এবং Web Hosting উভয়ই প্রয়োজন তাদের নির্ভরশীল প্রকৃতির কারণে। ওয়েব হোস্টিং কী এবং এটি একটি ডোমেইন নাম থেকে কীভাবে আলাদা তা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল-

আপনার ওয়েবসাইটকে একটি Apartment Complex হিসাবে কল্পনা করুন, যেখানে প্রতিটি Apartment আপনার সাইটের একটি ভিন্ন Page। এই ভবনটির অস্তিত্বের জন্য, এটি নির্মাণের জন্য প্রথমে আপনাকে একটি জমির প্রয়োজন হবে। ইন্টারনেটে, যে জমিতে আপনি আপনার Website তৈরি করেন সেটি Web Hosting নামে পরিচিত। আপনার সাইট তৈরি করা সমস্ত File এবং Data - এগুলি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ভিত্তি হিসাবে মনে করুন - সেগুলি ওয়েব সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয় যা আপনার সাইট Visit কারী লোকদের কাছে পাঠায়।

Domain এবং Web Hosting কত প্রকার?

প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে Website এবং গ্রাহকদের সর্বোত্তম চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন ধরণের Web Hosting চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

১) Shared Web Hosting:

Shared hosting হল যখন একটি ওয়েবসাইট, একই সার্ভারে অন্যান্য অনেক ওয়েবসাইটের মতো হোস্ট করা হয়। বেশিরভাগ ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি Shared Hosting প্রদান করে। এটি সস্তা এবং সেট-আপ করা সহজ, যা এটি নতুন সাইটগুলির জন্য উপযুক্ত করে তোলে, যা স্বল্প মেয়াদে প্রচুর ট্র্যাফিক আশা করে না। এটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ছোট এবং মাঝারি আকারের ব্যবসার জন্য উপযুক্ত।

২) Dedicated Hosting:

Virtual private servers (VPS) ,Virtual Dedicated Server (VDS) নামেও পরিচিত। একটি ভার্চুয়াল সার্ভার প্রতিটি ক্লায়েন্টের কাছে একটি ডেডিকেটেড সার্ভার হিসাবে উপস্থিত হয়, যদিও এটি আসলে একাধিক ওয়েবসাইট Serving করে। VPS প্রায়শই ছোট ওয়েবসাইট এবং সংস্থাগুলি ব্যবহার করে যা উচ্চ ব্যয় ছাড়াই একটি ডেডিকেটেড সার্ভার থাকার Flexibility চায়।

৩) VPS Hosting :

Dedicated Hosting কখনও কখনও Managed Hosting বা Dedicated Server হিসাবে উল্লেখ করা হয়। Dedicated Hosting সম্পূর্ণ সার্ভার Rent প্রদান করে। এই ধরনের হোস্টিং তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল। এটি শুধুমাত্র তখনই ব্যবহৃত হয়, যখন একটি ওয়েবসাইটে প্রচুর Traffic থাকে বা যখন আরো সার্ভার নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয়। এটি একটি আরো Flexible ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত কারণ এটি Server, এর সফটওয়্যার এবং Security system/নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেয়।

৪) Cloud :

Cloud Hosting হল বাজারে আসা সর্বশেষ Latest Hosting Type এবং এটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই ধরণের হোস্টিং অনেক Interconnected web server জুড়ে কাজ করে যা একটি Affordable, Scalable এবং Reliable web infrastructure সরবরাহ করে। Cloud hosting প্ল্যান সাধারণত Unmetered অফার করে। Reliable bandwidth এবং Unlimited domain এর জন্য Infinite amount ডিস্ক স্পেস, যা ব্যাখ্যা করে কেন এত Large Business Cloud Hosting এর দিকে ঝুঁকছে। তবে এতে অনেক বেশি খরচ হতে পারে।

৫) Reseller:

Reseller hosting হল ওয়েব হোস্টিংয়ের একটি Form, যেখানে অ্যাকাউন্ট মালিক তার বরাদ্দকৃত হার্ড ড্রাইভের Space এবং Bandwidth ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষের পক্ষ থেকে একটি Website Hosting হোস্ট করতে পারে। একটি “রিসেলার হোস্টিং প্ল্যান” একাধিক ডোমেইন সহ কেনা যে কারো জন্যও সহায়ক।

Domain এর বিভিন্ন প্রকার:

Domain Name বিভিন্ন এক্সটেনশনে পাওয়া যায়। সবচেয়ে জনপ্রিয় হল .com , আরো অনেক অপশন আছে যেমন .org , .net , .tv , .info , .io , এবং আরো অনেক কিছু। তবে আমরা সবসময় .com ডোমেইন Extention ব্যবহার করার পরামর্শ দিই।

সামগ্রিকভাবে, সর্বাধিক Common Domain name গুলির মধ্যে রয়েছে :

১) Top Level Domain – TLD

Top Level Domain বা TLD হল জেনেরিক ডোমেইন এক্সটেনশন যা ডোমেইন নাম সিস্টেমের সর্বোচ্চ স্তরে তালিকাভুক্ত। শত শত TLD আছে, কিন্তু সবচেয়ে জনপ্রিয় হল .com, .org, এবং .net। অন্যান্য টিএলডিগুলি কম পরিচিত -  উদাহরণস্বরূপ, .biz , .club , .info , .agency , এবং আরো অনেক কিছু।

২) Country Code Top Level Domain – ccTLD

Country Code Top Level Domain বা ccTLD হল দেশ নির্দিষ্ট Domain Name যা শেষ হয় Country code extension এর সাথে। যেমন: যুক্তরাজ্যের জন্য .uk , জার্মানির জন্য .de , ভারতের জন্য .in। এগুলি এমন ওয়েবসাইটগুলি ব্যবহার করে যা একটি নির্দিষ্ট দেশে দর্শকদের লক্ষ্য করতে চায়।

৩) Generic Top-Level Domain- gTLD

একটি Generic Top-Level Domain বা gTLD মূলত একটি শীর্ষ স্তরের ডোমেন যা একটি দেশের কোডের উপর নির্ভর করে না। অনেক gTLD গুলি একটি নির্দিষ্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে, যেমন .edu, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির লক্ষ্য। gTLD এর অন্যান্য উদাহরণের মধ্যে রয়েছে-  .mil (military), .gov (government), এবং .org (Non-profits and organization /অলাভজনকবং সংস্থার জন্য )।

অন্যান্য Domain Name এর ধরন:

  1. Second-Level Domains
  2. Subdomains
  3. Free Domains

Virtual machine কি?

একটি ভার্চুয়াল মেশিন (ভিএম) একটি অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) বা Application environment, যা বিশেষ সফটওয়্যারে ইনস্টল করা হয় যাকে বলা হয় ভার্চুয়াল মেশিন মনিটর (ভিএমএম), যা ডেডিকেটেড হার্ডওয়্যার অনুকরণ করে। VMM একই হার্ডওয়্যার রিসোর্সে একাধিক Virtual machine চালাতে সক্ষম করে। “Virtual machines are generally sandboxed from one another” প্রতিটি মেশিন স্বাধীনভাবে এবং অন্য মেশিন থেকে বিচ্ছিন্নভাবে চলতে পারে - উদাহরণস্বরূপ- একটি মেশিন একটি Linux operating system এবং অন্যটি Windows চালাতে পারে।

ভার্চুয়াল মেশিন ব্যবহার করার সুবিধা:

ভার্চুয়াল মেশিনগুলি Underlying Hardware গুলির আরও দক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দেয় এবং পরিচালনা করা সহজ কারণ সেগুলি সফ্টওয়্যার ভিত্তিক। একক Physical Machine এর উপরে একাধিক VM চালানো যেতে পারে, হার্ডওয়্যার আরও ভালভাবে ব্যবহার করা যায়। হার্ডওয়্যার ব্যবহার অপ্টিমাইজ করার জন্য VM গুলি সহজেই Copy করা যায়, Move করা যায় এবং হোস্ট সার্ভারের মধ্যে পুনরায় Reassigned করা যায়।

...See More
অনলাইন ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার 10 টি কারণ

অনলাইন ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার 10 টি কারণ

আপনি কি জানেন 22% ইকমার্স ব্যবসা তাদের প্রথম বছরে ব্যর্থ হয়েছে? এটি কীভাবে সম্ভব যখন সমস্ত খুচরা বিক্রির 18% অনলাইনে হয়?

বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, সমস্ত ক্রয়ের 95% ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে 2040 সালের মধ্যে করা হবে। কিন্তু তারা গ্রাহকদের যে সুবিধা দেয় তা সত্ত্বেও, সমস্ত ই-কমার্স ব্যবসার 80% ব্যর্থ হয়। এটি কেন ঘটে তার ৮টি কারণ সম্পর্কে পড়ুন।

এই Article এ, আমরা আপনাকে দেখাতে যাচ্ছি কেন ইকমার্স ব্যবসা ব্যর্থ হয় এবং আপনি কীভাবে একটি খারাপ পরিসংখ্যান হওয়া এড়াতে পারেন।

১) ইকমার্স স্টার্টআপ বিনিয়োগে ব্যর্থতা –

প্রথম কারণটি সহজ: একটি ভাল ওয়েবসাইট হোস্টিংয়ে বিনিয়োগের অভাব, পেশাদার ডিজাইনার এবং জটিল মার্কেটিং সব ই-কমার্স ব্যর্থতার দিকে পরিচালিত করে। প্রথম দিনগুলিতে সেরা ROI পেতে কোথায় বিনিয়োগ করবেন তার জন্য আপনার একটি উত্তম পরিকল্পনা প্রয়োজন।

২) আপনি জানেন না কিভাবে আপনার ব্যবসা মার্কেটিং করতে হবে-

যদি আপনি মনে করেন মার্কেটিং করা আপনার পক্ষে খুব কঠিন, অথবা আপনি ধরে নিচ্ছেন যে এটি কাউকে ভাড়া করার চেয়ে বেশি খরচ করে, আপনি মূলত নতুন গ্রাহক খোঁজার সম্ভাবনা বন্ধ করে দিচ্ছেন। হ্যাঁ, মার্কেটিং হচ্ছে সময়ের বিনিয়োগ, টাকা, অথবা উভয়, কিন্তু একটি অপরিহার্য।

৩) বাজে ডিজাইনের কারণে Ecommerce Startups ব্যার্থ হয়, একটি বাজে ডিজাইন করা ইকমার্স সাইট গ্রাহকদের কাছে তার নিজস্বতা ধরে রাখতে পারে না।

৪) একটি Poor Checkout Process প্রক্রিয়া সহ একটি ইকমার্স  গ্রাহকদের হতাশ করে

বিনামূল্যে শিপিংয়ের অভাব 40% ক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ে বিমুখ করে। এটি শুধু একটি জিনিস যা চেকআউটে ভুল হতে পারে। ই -কমার্স ওয়েবসাইটগুলির জন্য গড় কার্ট পরিত্যাগের হার 68.8%। ভুল চেকআউট করা হারানো রাজস্বের জন্য অনেক খরচ হয়।

৫) দুর্বল ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট :

ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং মার্কেটিং, পণ্যের ছবি এবং বিবরণের সাথে সম্পর্কিত। This is the sole ‘shop window’ for ecommerce websites. এইগুলি নিখুঁত করতে “সময় ব্যয় না করা” কেবল ব্যর্থতার হারকে বাড়িয়ে তোলে।

৬) SEO-focused content marketing plan:

বিজ্ঞাপন এবং বিপণনে বিনিয়োগ করা বিশাল, কিন্তু ব্যয়বহুলও। ইকমার্স ওয়েবসাইটগুলির একটি `SEO-focused content marketing plan’ থাকা উচিত। সার্চ ইঞ্জিনে তাদের  Keyword `High Rank’ নিশ্চিত করার জন্য।

৭) কোন মার্কেটিং পরিকল্পনা নেই মানে বিক্রয় নেই

কীভাবে তাদের পণ্য বাজারে আনা যায় তার পরিকল্পনা ছাড়াই, ইকমার্স ওয়েবসাইট এলোমেলোভাবে বিনিয়োগ করে। যখন ফলাফল আসে না, বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়।

৮) ইকমার্স স্টার্টআপ ব্যর্থ হয় কারণ তারা তাদের স্টার্টআপ খরচ পরিকল্পনা করে না করা। 

বিনিয়োগের অভাব Ecommerce Startup ভেঙে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ। একটি নতুন ইকমার্স স্টোরকে প্রতিযোগিতামূলক খুচরা বাজারে প্রবেশের জন্য সঠিকভাবে একটি অনলাইন স্টোর চালু করার সাথে জড়িত সমস্ত খরচের হিসাবের জন্য শুরু থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। 

৯) ইকমার্স ব্যবসা সার্চ ইঞ্জিন ফলাফলে দেখাতে ব্যর্থ হয়

এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে 35 শতাংশ ক্রেতারা একটি সার্চ ইঞ্জিনে তাদের ক্রয় যাত্রা শুরু করে। একটি অনলাইন দোকান খোলা থাকা অসম্ভব, যদি তাদের ওয়েবসাইটে নতুন ট্রাফিক না আসে,তাহলে তাদের সাফল্যের সম্ভাবনা হ্রাস পাবে। এজন্যই একটি ইকমার্স ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল, ``এটি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় দেখা না যাওয়া”

১০) ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলের অভাব

ইকমার্সে একটি সাধারণ ভুল ধারণা হল যে ওয়েবসাইটটি চালু হয়ে গেলে এবং তালিকা ক্রয়ের জন্য প্রস্তুত হলে, কাস্টমাররা সাইটটি ভিজিট করা শুরু করবেন। যাইহোক, এই ব্যবসার মালিকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ মিস করছেন: ব্যবসা সম্পর্কে কথা বলা এবং গ্রাহকদের তাদের নতুন অনলাইন স্টোরের প্রতি আকৃষ্ট করা।

এমনকি যদি কোনো ব্যবসা ইকমার্স এসইওর সর্বোত্তম অনুশীলন ব্যবহার করে, সার্চ ইঞ্জিন ফলাফলে অত্যন্ত দৃশ্যমান স্থানে উঠতে সময় লাগে।

 

-সমাধান –

১) বাস্তবসম্মত খরচের হিসেব তৈরি করুন এবং তারপর মূলধন বিনিয়োগ পরিকল্পনা

এখানে প্রথম, তিনটি প্রধান পদক্ষেপ:

  1. Develop your initial inventory
  2. Set up your website.
  3. Launch some initial advertising to generate sales.

একটি ইকমার্স ব্যবসা শুরু করার সময় এই তিনটি ধাপ সাধারণ। তিনটির মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য আপনার নগদ প্রবাহের প্রয়োজন হবে। আপনার প্রথম বিক্রয় শেষ হওয়ার পরে, আশা করি প্রবৃদ্ধিতে বিনিয়োগের জন্য আরও মূলধন থাকবে।

২) কোনও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ছাড়াই চালু করা, আপনাকে Retail Giants দের কাছে দুর্বল করে দেয়:

আপনার ব্যবসার মডেলটি গ্রহণ করা উচিত ক্রেতা নির্ভর, প্রোডাক্ট ক্যাটাগরি, এবং কিভাবে আপনার পণ্য, অফার অন্য সবার থেকে আলাদা। শেষটি হল আপনার ব্যবসার জন্য সঠিক ``Niche” খুঁজে পাওয়া। আপনি যদি সবার কাছে সবকিছু বিক্রি করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে খুচরা জায়ান্ট যেমন অ্যামাজন, ওয়াল-মার্ট এবং ইবে।

পরিবর্তে, আপনি কী বিক্রি করতে যাচ্ছেন, কীভাবে এটি মানুষের কাছে বাজারজাত করবেন, এবং এবং কেন আপনার পণ্যটি প্রথম স্থানে/প্রথম দেখাতেই কেনা উচিত, তা বিবেচনা করার জন্য সময় নিন

৩) আপনার “Niche" নির্ধারণ করুন

একটি ``Niche" দ্বারা, আপনি আপনার Target দর্শকদের লক্ষ্য করতে পারেন এবং পণ্য বিক্রি করতে পারেন, যা একটি বড় খুচরা বিক্রেতার কাছে পাওয়া যাবে না। আপনি কিভাবে একটি চাওয়া-পাওয়া বিশেষত্ব (sought-after specialty) তৈরি করতে পারেন তা দেখতে একটু গবেষণা করুন।

আপনার niche খুঁজে পেতে এবং চলার জন্য এখানে পাঁচটি পদক্ষেপ রয়েছে:

  • আবিষ্কার করুন মানুষ কি আগ্রহী এবং কিনবে
  • এমন জিনিসগুলির জন্য সন্ধান করুন যা মানুষ আগ্রহী। No one spends huge money on a good garbage bag. কিন্তু মানুষ তাদের গল্ফ সরঞ্জাম, মাছ ধরার গিয়ার এবং ব্যায়ামের আনুষাঙ্গিকের জন্য শত শত এবং হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে।
  • সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। যে ব্যবসাগুলি সমস্যার সমাধান করে, তাদের ভবিষ্যৎ আছে।
  • আপনার প্রতিযোগিতা দেখুন।
  • আপনার মার্জিন এবং লাভ পরীক্ষা করুন।

৪) একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সাথে কাজ করুন

একটি প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী এর সাথে কাজ করে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করুন যাতে করে একটি বাজে ওয়েবসাইট এর জন্য ব্যাবসায় ধস নেমেছে বা ব্যার্থ হয়েছে এই দায় এড়ানো যায়। এতে আপয়ান্র ভালো পরিমাণে একটা বিনিয়োগ করতে হবে। একটি অভিজ্ঞ ডিজাইন টিম, আপনার সাথে কাজ করে একটি চমৎকার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে, এটি আপনার ব্র্যান্ডকে Reflect করে এবং পেশাদার দেখায় যখন এটি সংগঠিত, সুরক্ষিত এবং দ্রুত লোড হয় (organized, secure, and quick to load)। আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর গ্রাহককে রূপান্তরিত হবে, যা আপনার ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করবে।

৫) নন  প্রফেশনাল ফটগ্রাফী / পণ্যের দুর্বল উপস্থাপনা ও পণ্যের  হযবরল বিবরণ

ছবি পণ্য বিক্রি করে। দুর্বল পণ্য উপস্থাপনা গ্রাহকদের দূরে সরিয়ে দেবে। প্রতিটি ব্যবহারকারীর উপর চমৎকার ছাপ ফেলতে ``Good photography and professional design services" ব্যবহার করুন। ``Good photography and professional design services" আপনার বিপণন কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

৬) মানসম্পন্ন পণ্যের সাথে আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু যোগ করুন (Adding Value to Your Brand with Quality Content)

৭) সার্চ ইঞ্জিন এ আপনার পণ্যের Keyword দিয়ে সার্চ করলে যাতে সার্চ ইঞ্জিন এর ফ্রন্ট পেজ এ আসে। 

৮) আপনার অনলাইন ব্যাবসা বা ই-কমারস ওয়েবসাইট এর জন্য একটা সঠিক ডিজিটাল মার্কেটিং প্লান করুন। 

 

আমরা WebHub আপনার ইকমার্স ব্যবসা Grow করতে সাহায্য করতে পারি! আপনি যদি কোনও অনলাইন স্টোরের পরিকল্পনা করছেন বা Crowded marketplace আকর্ষণ অর্জনের জন্য struggle করছেন, তাহলে WebHub আপনাকে আলাদা হতে সাহায্য করতে

...See More
Ecommerce VS Marketplace - নিজস্ব ওয়েবসাইট বা বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম কোনটা ভাল কোনটি আপনার ব্যবসার জন্য

Ecommerce VS Marketplace - নিজস্ব ওয়েবসাইট বা বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম কোনটা ভাল কোনটি আপনার ব্যবসার জন্য

বিশ্বব্যাপী আনুমানিক 1.8 বিলিয়ন মানুষ অনলাইনে পণ্য ক্রয় করে,63% ক্রেতারা তাদের কেনাকাটা যাত্রা অনলাইনে শুরু করেছেন। অনলাইনে বিক্রি করা অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে কিন্তু কেবল তখনই যখন আপনি জানেন কোথায় এবং কিভাবে বিক্রি করবেন। Sales giants যেমন Amazon, eBay, evaly, daraz এবং AliExpress অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে লাভ করে, যদিও Apple, Nike, এবং Dior   আয় এর জন্য ((to drive channel revenue and scale) একটি ব্যক্তিগতকৃত ইকমার্স ওয়েবসাইট ব্যবহার করে। Amazon ২০২০ সালে তার প্রথম আর্থিক ত্রৈমাসিকে .5৫.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। একই সময়ের মধ্যে, অ্যাপলও $ 63 থেকে 67 বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছে ।

একটি ই -কমার্স ওয়েবসাইট VS একটি মার্কেটপ্লেস হল অনেক বিক্রেতার মুখোমুখি হওয়ার দ্বিধা (The dilemma facing many vendors) । যদি আপনি এখনও সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন যে কোন বিকল্পটি আপনার ব্যবসায়িক ধারণার/ব্যবসার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত? এই নিবন্ধের শেষে, আপনি প্রতিটি বিকল্পের নির্দিষ্টতা (Specificity of each option) এবং একটি মার্কেটপ্লেস এবং একটি ইকমার্স ওয়েবসাইটের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য জানতে পারবেন।

একটি Ecommerce Marketplace কি?

একটি Online Marketplace এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা বিভিন্ন বিক্রেতা (Vendors) এবং ক্রেতাদের (Buyer) এক জায়গায় জড়ো করে। যারা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এটি উন্মুক্ত। Marketplace গুলির প্রধান সুবিধা হল একটি বিশাল Vast Audience, পণ্যগুলির একটি বিশাল পছন্দ (Immense choice of goods) এবং সেই পণ্যগুলি দ্রুত অ্যাক্সেস সুবিধা (Quick access to them) দ্বারা আকৃষ্ট। যেহেতু গ্রাহকরা ইচ্ছায় মার্কেটপ্লেসে আসে, একজন বিক্রেতার একমাত্র কাজ হল তাদের পণ্য (Product) বা পরিষেবার (Services) তথ্য প্রদান করা। মার্কেটপ্লেসগুলি Admin দ্বারা পরিচালিত হয় যা ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে কাজ করে।

এখানে তিনটি পক্ষ জড়িত - Vendor, Customer, এবং Marketplace administrator

Ecommerce Website কি?

একটি Marketplace এর বিপরীতে, একটি Ecommerce Website এর একজন ব্যবসার মালিক রয়েছে, যা কাস্টম ফিচার সম্বলিত একটি ওয়েবসাইটে তার ব্র্যান্ড প্রচার করতে চায়। Ecommerce একটি ওয়েবসাইট যেখানে, একক বিক্রেতা তার পণ্য/সেবা একাধিক গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে। যেহেতু ওয়েবসাইটটি বিক্রেতার , তাই বিক্রয় প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র "বিক্রেতা এবং ক্রেতা" দুটি পক্ষ জড়িত ।

অনলাইনে বিক্রির এই দুটি উপায় তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দের যারা শুধুমাত্র ই -কমার্সে তাদের এভিনিউ শুরু করে।

একটি Marketplace এবং একটি Ecommerce Website এর মধ্যে মূল পার্থক্য:

 

একটি Online Marketplace এ বিক্রির সুবিধা:

High Traffic:

একটি Marketplace আপনাকে অসংখ্য সম্ভাব্য/Potential Customer এর সাথে সংযুক্ত করে, আপনাকে বিজ্ঞাপন এবং বিপণন পর্যায়গুলি Bypass করার সুবিধা দেয়। একবার আপনি একটি মার্কেটপ্লেসের সদস্য হয়ে গেলে, আপনি বিপুল সংখ্যক Potentially interested Customer এর অ্যাক্সেস পান, যার ফলে আপনি প্রথম দিন থেকে লাভ করতে পারেন।

যেখানে ওয়েবসাইট স্টোর মালিককে ((Ecommerce Website Owner) ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আকর্ষণ করতে হয়।

Customer Trust:

ব্যবসার জন্য একটি মার্কেটপ্লেস ব্যবহার, Unknown Brand গুলির জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত সমাধান, যা শুধুমাত্র তাদের নাম তৈরি করা শুরু করে। একটি মার্কেটপ্লেস, সম্ভাবনার চোখে (In the eyes of prospects) সম্মানজনক মনে হতে পারে, যেমন দারাজের ক্ষেত্রে, যেখানে বাংলাদেশি ক্রেতারা যখন কোন পণ্য প্রয়োজন হয়, তখন প্রথম যেতে পছন্দ করে।

Effective logistics:

আপনার ব্যবসা একটি বড় Supply chain network এ যোগ দেয়, যা আপনার ক্রেতাদের ডেলিভারি পরিচালনা করে (Manages delivery to your buyers)।এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক কারণ আপনি Shipping এবং Inventory সংক্রান্ত সমস্যাগুলি থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। Quick time-to-launch: আপনার ব্যবসাকে মার্কেটপ্লেসের সাথে Integrate করতে খুব বেশি সময় লাগে না। আপনার Effort শুধুমাত্র বিক্রয়ের জন্য, আপনার পণ্য/Goods বা Services গুলি প্রদর্শনের (showcas) জন্য প্রচেষ্টা করা, যা সাধারণত এক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নেয়। No need for maintenance: কোম্পানি updates, security, এবং bugs এবং এর যত্ন নেয়, তাই আপনাকে web development service এর জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে না। আপনি secure payment method থেকেও লাভবান হন যা Marketplace Owner দ্বার প্রদান করা হয়।

Low investment:

একটি Marketplace এ বিক্রি করা individual website এর তুলনায় কম খরচের ব্যাপার। একটি WEbsite তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খরচ প্রয়োজন। এমনকি যখন আপনি একটি Ecommerce প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন, যা Online Store তৈরি এবং পরিচালনার অনুমতি দেয়, তখনও সামান্য খরচ হয়। যাইহোক, একটি Marketplace ব্যবহার করার সময় এটি প্রয়োজন হয় না। পুরো Infrastructure  এবং IT support মার্কেটপ্লেস দ্বারা যত্ন নেওয়া হয়।

Marketplace takes care of SEO:

যেহেতু মার্কেটপ্লেসগুলি ব্যবসায়ের মধ্যে রয়েছে, তাদের product category pages এর জন্য তাদের একটি Well established SEO এবং SERP খ্যাতি রয়েছে। যখন আপনার পণ্যগুলির জন্য আরও Traffic/Eyeballs সংগ্রহ করার কথা আসে, তারা  Individual website এর উপর স্কোর করে। এই জন্য, আপনি বলতে পারেন যে একজন বিক্রেতা হিসাবে আপনাকে Traffic বা eyeballs তৈরিতে সম্পদ পোড়ানোর দরকার নেই।

Policy pages aren’t your headache:

প্রতিষ্ঠিত মার্কেটপ্লেসে ইতিমধ্যেই শিপিং থেকে শুরু করে অর্ডার পূরণ বা বাতিল করা পর্যন্ত সবকিছুর জন্য একটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত Policy আছে। মার্কেটপ্লেসগুলি কেনাকাটার লেনদেনের পাশাপাশি অভিজ্ঞতাকে সহজ করে, সুতরাং, আপনার জন্য সেখানে ব্যবসা শুরু করা অনেক সহজ করে তোলে।

Play on the reliability of your marketplace:

যে কোনও বিশিষ্ট Prominent marketplace এর একটি বিশাল Customer Base রয়েছে যার কারণে লোকেরা এখানে কেনাকাটা করে। একটি Reputed site এর ট্রাফিক আছে,যেমন, Amazon, Daraz, Alliexpress। এমনকি যদি কেউ আপনাকে না চেনে, তাহলেও ঠিক আছে। গ্রাহকরা এখনও আপনার পণ্যগুলি কিনবে কারণ তারা Marketplace’s Reputation নিয়ে Concerned।

 

একটি Online Marketplace এ বিক্রির অসুবিধা:

High level of competition: এমন একটি মার্কেটপ্লেসে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন যা শত শত বিক্রেতাদের Similar পণ্য এবং Service বিক্রি করার চেষ্টা করে। এছাড়া, যদি আপনি একটি অত্যন্ত "Competitive Niche'' নিয়ে কাজ করেন , Marketplace এ আপনার অবস্থান ক্রমশ অস্থির/Unstable হয়ে উঠবে। High level of competition: এমন একটি মার্কেটপ্লেসে দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন যা শত শত বিক্রেতাদের Similar পণ্য এবং Service বিক্রি করার চেষ্টা করে। এছাড়া, যদি আপনি একটি অত্যন্ত "Competitive Niche'' নিয়ে কাজ করেন , Marketplace এ আপনার অবস্থান ক্রমশ অস্থির/Unstable হয়ে উঠবে।

Marketplace charge selling fee/Commission:

Well, মার্কেটপ্লেসে এ কোন Free Lunche নেই। তারা আপনার পণ্য বিক্রি করে কোন Charity কাজ করে না। বেশিরভাগ মার্কেটপ্লেস তাদের service গুলির জন্য ফি নেয়। গড়ে, Marketplace Vendor দের প্রতিটি বিক্রয় থেকে 5-15% দিতে হয়।

No branding and personalization options:

একটি মার্কেটপ্লেস আপনাকে আপনার Personal Brand Promote এর যেকোন সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। আপনি আপনার Audience দের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন না এবং Brand Loyalty প্রতিষ্ঠার জন্য আপনি কোন বিপণন প্রচারণার//Marketing Campaign ব্যবস্থা করতে পারবেন না। মার্কেটপ্লেস গ্রাহকদের Loyalty  বাড়াতে এবং Better Recall করতে সাহায্য করে না। আপনি কখনই একটি মার্কেটপ্লেসে আপনার ওয়েবসাইটের Branding তৈরি করতে পারবেন না। আপনি কেবলমাত্র একটি কোম্পানির মধ্যে থেকে যান এবং আপনার পণ্যগুলি সেই কোম্পানির পণ্যগুলির মধ্যে একটি মাত্র। অনেক Brand conscious companies, মার্কেটপ্লেসে বিক্রি পছন্দ করে না, কারণ সেখানে তাদের পণ্যের Strength, Value, Quality ব্যাখ্যা করা একটু কঠিন।

Ecommerce Website এর সুবিধা:

A high degree of control:

আপনার E-Commerce Website সম্পূর্ণরূপে আপনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। look and feel, design, layout, content এবং navigation সবকিছুই আপনার নিয়ন্ত্রণে। যদিও আপনার ওয়েবসাইট একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে তৈরি, আপনি এটি চালান। গ্রাহক আপনার অস্তিত্ব/Existence সম্পর্কে সচেতন। আপনার Reputation এবং আপনার পণ্য গ্রাহককে আপনার website এ নিয়ে আসে। আপনি এটিকে শেষ পর্যন্ত পরিচালনা করেন। অতএব, সাফল্য বা ব্যর্থতা আপনার কাঁধে নির্ভর করে। অতএব, এটিকে যতটা সম্ভব ভাল করে তুলুন যাতে,গ্রাহক যখন আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে, 'wow'/'বাহ' ফ্যাক্টর অনুভব করেন।

Customer interaction:

একটি eCommerce website আপনাকে আপনার Audience/customer দের সাথে সরাসরি যোগাযোগের Source/Channels পেতে দেয় (chatbot conversations, emails, calls এর মাধ্যমে)। Customer-Brand সম্পর্ক তৈরির ফলে Brand Awareness আসে এবং আপনাকে বাজারে আরো প্রভাবশালী হতে সাহায্য করে। আপনার সাইটে Customer’s Behaviour আরও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়। আপনি Transactions, browsing history রেকর্ড করতে পারেন। অর্ডারের Average value, ওয়েবসাইটের প্রতিটি Page এ ব্যয় করা সময়, Conversion patterns history এবং অন্যান্য দিক, আসলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গ্রাহকরা কীভাবে আচরণ করেন সে সম্পর্কে আপনি সচেতন হতে পারেন। উপরন্তু, আপনি গ্রাহকদের ডেটা ক্যাপচার করতে পারেন যা আপনাকে Purchase Decisions এবং Buying Patterns উন্নত/Improve করতে সাহায্য করে। সামগ্রিকভাবে, আপনি conversion improve করতে পারেন।

Design Marketing campaigns:

এটি Customer এর Loyalty উন্নত করতে এবং আরও Better Recall করতে সাহায্য করে এবং আপনি গ্রাহকের মিথস্ক্রিয়াগুলি/Interactions ধরতে পারেন। অতএব, সেই অনুযায়ী, আপনি প্রচারগুলি ডিজাইন করতে পারেন। আপনি Customer দের কাছে পৌঁছাতে পারেন, আপনি Referral scheme চালাতে পারেন, আপনি Loyalty programs, Cross tie ups এবং আরও অনেক কিছু পরিকল্পনা করতে পারেন। এটি আপনাকে বিভিন্নভাবে আপনার Audience দের টার্গেট করতে সাহায্য করে। Google Ads, Facebook ads এবং এমনকি Instagram টার্গেটিং আপনাকে Brandiing এ সহায়তা করে। কিন্তু এগুলো সব Marketplace সম্ভব নয়।

Brand loyalty:

একটি ইকমার্স ওয়েবসাইট সাধারণত একটি ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে। সুতরাং, আপনার ওয়েবসাইটে আসা সমস্ত গ্রাহক, সম্ভবত আপনার কোম্পানিকে মনে রাখবেন,কারণ আপনার ওয়েবসাইটে আশেপাশে এমন কেউ নেই যারা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

One-time investment and pocket more revenue:

একটি ওয়েবসাইটে Investment করা হচ্ছে এককালীন বিনিয়োগ যা বছরের পর বছর ধরে বিস্তৃত। আপনি মার্কেটপ্লেসের সাথে মার্জিন শেয়ার করা থেকে মুক্ত। মার্কেটপ্লেসের সাথে Margin শেয়ার করা থেকে আপনি মুক্ত থাকতে পারেন। অতএব আপনি আরও বেশি উপার্জন করতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের Safety এবং Security সহ Multiple Features উপভোগ করতে পারেন।

Personalization:

আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট চালানো, আপনাকে আপনার Online Store কে যে কোন সময় এবং যেকোনো উপায়ে পরিবর্তন করার স্বাধীনতা দেয়। যখন আপনার ভোক্তাদের আচরণ পরিবর্তিত হয় এবং আপনার দ্রুত আপনার ইকমার্স প্ল্যাটফর্মকে তাদের প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজ করা প্রয়োজন হয়, তখন এই সুযোগটি অনেক মূল্যবান । যা বেশিরভাগ মার্কেটপ্লেসে Provide করা বেশ অসম্ভব।

No commission:

ওয়েবসাইটের মালিক হিসাবে, আপনার উপার্জনের অংশ অন্য কারো সাথে ভাগ করতে হবে না। "The lack of commission" একটি বড় পার্থক্য করে যখন আপনার উপার্জন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।

Ecommerce Website এর অসুবিধা:

eCommerce website development:

আপনার নিজের ওয়েবসাইটে বিনিয়োগ করা মার্কেটপ্লেসের সদস্য হওয়ার চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হতে পারে। আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য ডেভেলপারদের নিয়োগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, এর পাশাপাশি একটি Domain Name কেনা এবং নিরাপদ HTTPS সার্টিফিকেটের জন্য অর্থ প্রদান করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াও প্রয়োজন। এক্ষেত্রে WebHub হতে আপনার প্রথম পছন্দ। সুপার ফাস্ট ইকমার্স ওয়েবসাইট এবং ডায়নামিকব ফিচার নিয়ে করছে ওয়েব হাব এর আমার দোকান । 

Website maintenance:

একটি Well-designed website রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপডেট প্রয়োজন, যা আপনার দায়িত্বও হয়ে ওঠে। কোন Bug বা Glitch দেখা দিলে, আপনার Developer কে এটি সমাধান করতে হবে।

SEO:

"Climbing to the top of Google’s search" একটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। গুগল এ Visible হতে এবং আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগে।

Marketing:

Keywords খোঁজা, Marketing campaign তৈরি করা, প্রচার করা এবং অন্যান্য জিনিস যা আপনাকে পরিচালনা করতে হবে। এছাড়াও, এর জন্য আপনার Dedicated Manpower প্রয়োজন হবে। কিন্তু আপনি একটি Marketplace এ এই বোঝা থেকে মুক্ত। কিন্তু, যেহেতু আপনার কাছে Relevant Data আছে, তাই আপনি কিছু Marketing Expert দের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের প্রচারে Focuse করতে পারেন। যদিও এটি একটি সমস্যা কিন্তু এটি শক্তিতে পরিণত হতে পারে

 

যেহেতু আমরা ই-কমার্স এবং মার্কেটপ্লেসের মধ্যে মূল পার্থক্য এবং তাদের বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে আলোচনা করেছি, এখন সময় আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার। 

 

সুতরাং, আপনার ব্যবসার জন্য কোনটি ভাল? আপনার ব্যবসার জন্য WIN-WIN সমাধান কি?

যখন আপনাকে দুটোর মধ্যে যে কোন একটি বেছে নিতে হবে, আপনার Priorities এবং Budget এর মধ্যে কোনটি সবচেয়ে উপযুক্ত তা দেখুন। আপনার পণ্যটি Niche বা General কিনা তা বিশ্লেষণ করুন। Right choice করার জন্য, আপনার মনে রাখা উচিত, যে কোনও eCommerce solution আপনার ব্যবসার প্রয়োজনের (Business need) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।

 আপনি যদি আপনার পণ্যে যতটা সম্ভব Traffic, Customer পেতে আগ্রহী হন এবং বর্তমানে SEO বা পেইড বিজ্ঞাপনের জন্য কোন বাজেট না থাকে, তাহলে আপনার পণ্যগুলি Marketplaces এ  বিক্রি করার কথা বিবেচনা করুন। মার্কেটপ্লেসগুলি ই-কমার্সের নতুনদের জন্য একটি দুর্দান্ত Starting point; তারা আপনাকে একটি স্টোর তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় খরচ, ঝুঁকি এবং সময় আগে থেকে হ্রাস করতে দেয়।

আপনি যদি Online Retail এর সাথে জড়িত হতে চলেছেন, তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের সাথে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। এইভাবে, আপনার ব্র্যান্ড অসংখ্য প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করা হবে। যা আপনার Brand awareness বৃদ্ধি করবে এবং এর ফলে বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

 

কিন্তু যদি আপনি Brand conscious হন, একটি দীর্ঘ Innings খেলতে চান, এবং সর্বাধিক আয় করতে চান তাহলে Webhub প্ল্যাটফর্মে একটি ওয়েবসাইটের মালিকানা অবশ্যই আপনার জন্য সেরা সমাধান।

যদি আপনার ব্যবসায়িক Activity/ক্রিয়াকলাপ Service সরবরাহ , IT consulting বা Healthcare services হয়, আপনার নিজের ইকমার্স ওয়েবসাইট শুরু করা আরও উপকারী হবে। কারণ এটি আপনাকে Customer journey এবং Marketing campaign গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেবে যা শেষ পর্যন্ত আপনার ব্র্যান্ডের প্রতি আপনার Audience দের আকৃষ্ট করবে। আপনার নিজস্ব eCommerce website, আপনাকে বিক্রয় প্রক্রিয়ার (Sales process) উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয়।

“selling on both types of platforms can be valuable, because it provides the best of both worlds” সর্বোপরি, বিভিন্ন Marketplace/চ্যানেলে আপনার পণ্য ছড়িয়ে দেওয়া এবং বিক্রি করা সবচেয়ে ভালো, কিন্তু আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটকে উপেক্ষা করা এবং শুধুমাত্র মার্কেটপ্লেস বিক্রির উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা ভুল হবে এবং আপনার Business ত্রর Growth কে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

...See More
অনলাইন/ই-কমার্স/ই-ব্যবসার সুবিধা-অসুবিধা

অনলাইন/ই-কমার্স/ই-ব্যবসার সুবিধা-অসুবিধা

আপনি কি -কমার্স ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন?

অসাধারণ! এখন শুরু করার সঠিক সময়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী e-retail বিক্রয় 2021 সালের মধ্যে 4.8 ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আসলে, ইকমার্স এত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে যে এটি 2.14 বিলিয়ন মানুষকে serve করবে বলে আশা করা হচ্ছে। অবশ্যই, ইকমার্সের অনেক সুবিধা রয়েছে, যা আমরা নীচে আলোচনা করব।

এই নিবন্ধে, আপনি অনলাইন স্টোরগুলির সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি জানতে পারবেন, যাতে আপনি নিজের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে এটি আপনার জন্য সঠিক ব্যবসার ধরন কিনা।

অনলাইন ব্যবসার এই সুবিধাগুলি আপনাকে আপনার উদ্যোক্তার যাত্রা জুড়ে Excited এবং Motivated থাকতে সাহায্য করবে।

E-Business/E-commerce কি?

1996 সালে, আইবিএম এর মার্কেটিং এবং ইন্টারনেট টিম ই-বিজনেস (E-Business) তৈরি করেছিল। এটি ইলেকট্রনিক ব্যবসা বা অনলাইন ব্যবসার জন্য দাঁড়িয়েছে। এটি এমন একটি ব্যবসা যেখানে অনলাইনে লেনদেন হয় এবং ক্রেতা এবং বিক্রেতার ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার প্রয়োজন হয় না। ইলেকট্রনিক ব্যবসা ই-কমার্সের একটি অংশ, অর্থাৎ ইলেকট্রনিক কমার্স। এটি ইলেকট্রনিক কমার্স বা ইন্টারনেট কমার্স নামেও পরিচিত।

ই-কমার্স/ই-ব্যবসার সুবিধা:

Reduced Costs:

ইকমার্স সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল, এটির স্টার্টআপ খরচ কম। Physical Retail স্টোরগুলিকে, তাদের দোকানের লোকেশন ভাড়া নিতে হাজার হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। তাদের বেশ কয়েকটি অগ্রিম খরচ রয়েছে, যেমন- Store signs,স্টোর ডিজাইন, ইনভেন্টরি কেনা, বিক্রয় সরঞ্জাম এবং আরও অনেক কিছু, এবং শুধু তাই নয়, দোকানের মালিককে কাজ করতে এবং প্রতিটি লোকেশন চালানোর জন্য কর্মী নিয়োগ করতে হয়। দোকানে পণ্যের মূল্যের উপর নির্ভর করে তাদের নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে।

এজন্যই একটি Traditional অফিস-ভিত্তিক কোম্পানি স্থাপনের তুলনায় একটি অনলাইন ব্যবসা করার প্রধান সুবিধা হল “খরচের পার্থক্য”। যদিও একটি ডোমেইন Secure এবং একটি Website তৈরির সাথে ফি সংশ্লিষ্ট রয়েছে, কিন্তু Leasing এবং "Maintaining physical premises" এর তুলনায় এগুলি ন্যূনতম।

E-business/E-commerce এ আপনি কোন ধরনের ইকমার্স ব্যবসা পরিচালনা করবেন, তার উপর নির্ভর করে যখন আপনি একটি নির্দিষ্ট Level এ Reach করবেন তখনই আপনাকে কর্মচারী নিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। যেহেতু আপনার দোকান অনলাইন ভিত্তিক, এজন্য কর্মচারীরা দূর থেকে কাজ করতে পারে, যার ফলে আপনার কোম্পানির জন্য উপযুক্ত কর্মী খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। আপনি যদি অনলাইনে ড্রপশিপ বেছে নেন, তাহলে আপনাকে প্রচুর অর্থ সাশ্রয় করে বাল্ক ইনভেন্টরি (Bulk Inventory) কিনতে হবে না।

With ecommerce, branding is also cheaper:

ইকমার্সের সাথে, ব্র্যান্ডিংও সস্তা। আপনার দোকানের Logo প্রায়ই একটি দোকানের "store sign" চেয়ে বেশি সাশ্রয়ী হয়। E-commerce ব্যবসার খরচ সাধারণত অনেক কম। যা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় সুবিধা।

24/7 Availability:

আপনার Website একটি "Invaluable E-business tool"। এমন কোন ই-বিজনেস মডেল বা ই-বিজনেস মালিক নেই যার ওয়েবসাইট নেই। আপনার ওয়েবসাইট থাকলে আরো ব্যবসায়িক সুবিধার দরজা খুলে যায়। একবার আপনার ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলি চালু হলে (Like Facebook, LinkedIn, Instagram etc) , আপনার অনলাইন ব্যবসা কোন সময় সীমাবদ্ধতা ছাড়াই, 24/7 অনলাইন লেনদেনের জন্য খোলা থাকে । এই 24/7 availability ই-ব্যবসার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা। Traditional ব্যবসায় নিয়মিত 9 to 8 এর কোন সীমাবদ্ধতা নেই, যা আপনি একটি Traditional ব্যবসায়/ Physical Store গুলোতে দেখতে পান।

একটি Traditional ব্যবসা/Physical Store থাকার অর্থ, আপনাকে পণ্য ও পরিষেবা কিনতে গ্রাহকদের প্রভাবিত করতে কর্মস্থলে আসতে হবে, কর্মীদের বেতন দিতে হবে। কিন্তু আপনার অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে, আপনার গ্রাহকদের জন্য তাদের সুবিধামতো সময়ে, তাদের অনলাইন কেনাকাটা করা সহজ। এটি আপনার ব্র্যান্ডের সাথে গ্রাহকের অভিজ্ঞতা "Improve" করতে সাহায্য করে। আপনার সাথে ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য তাদের যা দরকার তা হল ইন্টারনেট অ্যাক্সেস, একটি ইন্টারনেট-সংযুক্ত ফোন বা কম্পিউটার, তাদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড (Depend on country preferences)। যদিও, আপনার ফিজিক্যাল প্রোডাক্টগুলিকে এখনও ফিজিক্যাল স্টোরে সংরক্ষণ করতে হবে । ই-কমার্স ব্যবসার জন্য স্টোরেজ স্পেস প্রায়ই খুচরা স্পেসের তুলনায় সস্তা, এবং আপনাকে "Potential customer" দের জন্য Foot traffic এবং Parking spaces মতো বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তাও করতে হবে না।

Global Reach:

ইন্টারনেটের মাধ্যমে, আপনি আপনার পণ্য বা সেবা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এখানে ভৌগোলিক অঞ্চলে কোন "Physical restrictions" সীমাবদ্ধতা নেই, যা আপনি একটি Traditional ব্যবসার সাথে দেখেন। একটি Physical Business শুধুমাত্র একটি স্থানীয় এলাকায় গ্রাহকদের বিজ্ঞাপন দিতে পারে, যেখানে একটি অনলাইন ব্যবসা থাকার মানে হল আপনি আপনার কোম্পানিকে বিপুল সংখ্যক Potential Customers এর কাছে Reach করতে পারেন।

No Location Disadvantage:

Physical স্টোরের জন্য, আপনার ব্যবসার সঠিক Location খুঁজে বের করা অপরিহার্য। এটি আপনার সাপ্লাই চেইনকেও প্রভাবিত করতে পারে। যদি আপনি ই-ব্যবসা পরিচালনা করেন, তবে এটি অপরিহার্য হয় না। আপনি 24 ঘন্টার ভিত্তিতে আপনার ওয়েবসাইটে গ্রাহক সেবা বা অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য একটি Virtual Assistant তৈরি করতে পারেন/ নিয়োগ করতে পারেন। E-commerce ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্যে আপনাকে আপনার Location এর বাইরে Large Customer এর কাছে পৌঁছানোর জন্য (Reach) অ্যাক্সেস দেয়।

Reduced Staff Requirements:

যেখানে একটি Physical Retail Outlet এ মালিককে একটি বিক্রয় কর্মী নিয়োগ করতে হয়, যেখানে একটি অনলাইন ব্যবসার সাথে অনেক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হয়। উদাহরণস্বরূপ, অনলাইনে একটি আইটেম কেনার জন্য পেমেন্ট নিতে একজন ক্যাশিয়ারের প্রয়োজন হয় না: একজন ক্রেতা কেবল তার কার্ডের বিবরণ প্রবেশ করে এবং পণ্যের মূল্য কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রদান সম্পন্ন হয় ।

Potential Income:

ইকমার্সের আরেকটি সুবিধা হল যে অনলাইন স্টোর সবসময় ব্যবসার জন্য খোলা থাকে। ফেসবুক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, আপনি যেকোনো সময় বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে,যে কাউকে আপনার পণ্য কিনতে আকৃষ্ট করতে পারেন, যেমন 11 টা থেকে ভোর 4 টার মধ্যে।

বিপরীতে, বেশিরভাগ Physical Store গুলি সকাল 9 টা থেকে রাত 9 টার মধ্যে চালু থাকে। Physical Store এ সব সময় Available থাকার মাধ্যমে, আপনি এমন Customer দের আকৃষ্ট করতে পারেন যারা আউটলেট খোলা থাকলে সাধারণত দোকানে পণ্য সংগ্রহ করবেন। আপনার সেই Customer সম্পর্কে চিন্তা করুন,যারা (Normal hours) স্বাভাবিক ঘন্টা কাজ করে না, যারা খুব ব্যস্ত এবং কিছু কেনার জন্য দোকানে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। যাদের "Odd Work Schedules" থাকতে পারে অথবা যাদের ব্যক্তিগতভাবে কেনাকাটা করার সময় নেই, একটি ইকমার্স স্টোর আপনাকে তাদের আকৃষ্ট করতে দেয়।

রাতে অর্ডার করা গ্রাহকদের কি হবে? তাদের Accommodate করার জন্য, আপনার রাতের শিফটে কর্মচারী থাকার দরকার নেই। আপনাকে যা করতে হবে তা হল আপনার অর্ডারিং সিস্টেমগুলিকে স্বয়ংক্রিয় করা,যাতে করে গ্রাহকরা অর্ডার দিলে একটি নিশ্চিতকরণ ইমেল পান।

Able to Process a High Number of Orders:

আপনি যদি E-commerce/E-business বেছে নেন, তাহলে আপনি সহজেই "High number of orders"  পেতে পারেন। যখন আপনার ব্যবসা ক্রমাগত বাড়তে শুরু করবে, তখন আপনি Order Processing এ সাহায্য করার জন্য কর্মীদের নিয়োগ করা বেছে নিতে পারেন। এছাড়াও, ড্রপশিপিংয়ের সাথে, আপনার গ্রাহকের কাছে পণ্যটি বিক্রি করার জন্য আপনার কাছে Physically পণ্যটি Instock থাকার প্রয়োজন নেই। অতএব আপনাকে স্টক Stock Control সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে না যেমন physical store এ আছে। খুচরা দোকানে, Long queues/Products out of Stock মানুষকে কেনাকাটা থেকে বিরত করতে পারে। ইকমার্সে, অপেক্ষা করার দরকার নেই। একজন গ্রাহক বিলম্ব না করে তাদের নিজস্ব সময়সূচীতে অর্ডার দিতে পারেন, যার ফলে আপনি প্রচুর সংখ্যক অর্ডার গ্রহণ করতে পারবেন।

You can Grow Your Business Organically with Content:

ইকমার্সের মাধ্যমে, E-commerce Blogging এর মাধ্যমে Organic Traffic এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারেন। ভিডিও তৈরি করা থেকে শুরু করে ব্লগের বিষয়বস্তু লেখা পর্যন্ত, বেশি অর্থ ব্যয় না করে আপনি ট্রাফিক আনতে এবং বিক্রয় চালানোর জন্য আপনার দোকানকে অপ্টিমাইজ করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও, আপনি  content creation এর মাধ্যমে অর্গানিকভাবে ট্রাফিক আনতে পারবেন,শুধু তাই নয় আপনি সেই গ্রাহকদের পুনরায় বিজ্ঞাপন দিয়ে আকর্ষণ করতে, স্থায়ী করতে সক্ষম হবেন। physical shop দোকানের মালিককে তাদের গ্রাহকদের কাছে দোকান পরিদর্শন করতে উৎসাহিত করতে হয়,আরও বেশি ক্রেতা পেতে তাদের একটি "High traffic" এলাকায় বাজারজাত (Marketing) নিশ্চিত করতে হয়।

Not Dependent on Opening Hours:

E-commerce/E-business এ, আপনার ভোক্তারা আপনার ব্যবসা/দোকান খোলার সময়গুলির উপর নির্ভর করে না কারণ তারা আপনার ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা সামাজিক নেটওয়ার্ক চ্যানেলের (Facebook Page, LinkedIn, intragrame) মাধ্যমে আপনার সাথে চব্বিশ ঘন্টা ব্যবসা করতে পারে,পণ্য কিনতে পারে।

ই-কমার্স আপনার ব্যবসাকে Physical Retailers বিক্রেতাদের তুলনায় সহজতর করতে দেয়।

 

Immediate Price Comparison:

আপনার গ্রাহকরা অনলাইনে, আপনার পণ্যের দাম আপনার প্রতিযোগীদের সাথে তুলনা করে, তারা Fair deal / সর্বনিম্ন পাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেন ।

 

Convenience:

একটি ই-ব্যবসার মাধ্যমে, আপনার গ্রাহকরা তাদের বাসা বা অফিসে বসে Comfort/স্বাচ্ছন্দ্য থেকে আপনার সাথে ব্যবসা করতে পারেন, পণ্য কিনতে পারেন। এই সুবিধা,যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এই ভোক্তাদের এই ই-ব্যবসার প্রতি আকৃষ্ট করে। আপনার ব্র্যান্ড আপনার গ্রাহকদের যত বেশি সুবিধা দেয়, ততই Customer আপনার সাথে ব্যবসা করতে পারে,পণ্য কিনতে পারে এবং আপনার ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরির সম্ভাবনা রাখে।

 

ই-কমার্স ব্যবসায় কিছু অসুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

 

  • গ্রাহকরা পণ্য কেনার আগে চেক করতে পারে না,

  • গ্রাহকরা অধৈর্য হতে পারে ,

  • শিপিং সময় দীর্ঘ হতে পারে  (কিন্তু আপনি কতটা ভাল সেবা দিতে পারেন তার উপর নির্ভর করে এটি পরিবর্তন হতে পারে)

  • ইকমার্স অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক,

  • Site Crash/Server Down সময় কেউ কিনতে পারে না।

 

As with every pro, there is a con. ই-ব্যবসার অসুবিধার চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা রয়েছে। আপনার ব্যবসার Rules, Marketing policy, আপনি কিভাবে গ্রহণ করেন, আপনি কোন কৌশল প্রয়োগ করেন তার উপর অসুবিধা নির্ভর করে। আপনি যত ভালো Strategy প্রয়োগ করতে পারবেন, ততই অসুবিধা কমাতে পারবেন এবং আপনি আরো সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ।

মনে রাখবেন-

“Every problem is a gift; without problems we would not grow.” – Anthony Robbins.

...See More
ব্যবসা ক্ষেত্রে সফল হতে বিল গেটসের ১২ টি উপদেশ

ব্যবসা ক্ষেত্রে সফল হতে বিল গেটসের ১২ টি উপদেশ

বিল গেটস বিশ্বের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী। একজন Magnate, philanthropist, investor, এবং মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সর্বকালের অন্যতম সুপরিচিত pioneers। মাইক্রোসফটে তার সাফল্য তাকে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির খেতাব এনে দিয়েছে। সূচনা থেকে শুরু করে একটি Software empire স্থাপন করা পর্যন্ত, তার যাত্রা একটি "Roller coaster", যা আপনি শুরু করতে চলেছেন। অনেক তরুণ উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসায়িক যাত্রায় বিল গেটসের পরামর্শ চান।

বিল গেটস কি করে একজন সফল উদ্যোক্তা?

সম্প্রতি রয়টার্সের প্রতিবেদনে (reported by Reuters) জানানো হয়েছে, বিল গেটস হতে পারেন বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার। আপনি যদি কখনও ভাবছেন যে তিনি কীভাবে সাফল্যের গল্প হয়ে উঠলেন, এবং “Multi-billionaire” হয়ে উঠলেন, জানতে আজকের নিবন্ধ পড়ুন। নীচে 12 টি টিপস যা Bill Gates বিভিন্ন সময়ে উদ্যোক্তাদের সাথে Share করেছেন। সেগুলো পড়ে দেখুন আপনার কোম্পানি এবং ব্র্যান্ডকে সাহায্য করার জন্য তিনি যা শেয়ার করেন তা আপনি কিভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

 

1. Have Patience with your Ideas/ Believe in your vision:

বিল গেটসের উদ্যোক্তাদের জন্য প্রথম পরামর্শ হল, “Have Patience with your Ideas” মানে আপনার Ideas এর উপর ধৈর্য্য ধারণ করা। তিনি মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেন যে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে তারা যে সাফল্যের স্তর পেয়েছিল, তা চার বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। একটি great idea এর ক্ষেত্রে গেটস ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন।

এটি আপনার নিজের ব্যবসায় প্রয়োগ করুন। আপনার বর্তমান গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে আপনি কীভাবে আপনার ধারণাটি গ্রহণ করতে পারেন এবং এটিকে ভালভাবে Apply করতে পারেন, সে সম্পর্কে আপনাকে ভাবতে হবে।

আমাদের আজকের যে প্রযুক্তি রয়েছে তা নিয়েও চিন্তা করুন এবং ভবিষ্যতে আপনি কীভাবে আপনার ধারণাটি এগিয়ে নিতে পারেন তা বিবেচনা করুন। আমরা "বর্তমান" এ বাস করি কিন্তু ভবিষ্যতের কথাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং পাশাপাশি এটাও মনে রাখা জরুরী যে, পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি এবং গ্রাহকের চাহিদা কীভাবে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করবে। আপনার গ্রাহকদের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য করতে বাজারের যে পরিবর্তনগুলি প্রয়োজন তা মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত।আপনাকে সবসময় আপনার গ্রাহকদের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য করতে বাজারের যে পরিবর্তন প্রয়োজন তা মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।

2. Start as Early as Possible:

বিল গেটসের সাফল্যের আরেকটি শিক্ষা হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করা। বিল গেটস মাত্র 13 বছর বয়সে কম্পিউটার নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন।

3. Think Ahead of the Time:

প্রতিযোগিতায় এক ধাপ এগিয়ে থাকার জন্য,আপনাকে ভবিষ্যত predict করতে হবে এবং তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। বিল গেটসের সাফল্য, আংশিকভাবে তার "futuristic vision" এর উপর নির্ভর ছিল। এই কারণে, মাইক্রোসফট সবসময় প্রতিযোগিতায় এক ধাপ এগিয়ে ছিল। এমনকি যখন তিনি অবসর নিচ্ছিলেন, তখনও তিনি তার সময়ের আগে চিন্তা করেছিলেন। তিনি তার "Interview to PC magazine" সাক্ষাৎকারে, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে Tablet PCs, Internet TV, এবং natural user interface ব্যবহারকারী আগামী বছরগুলিতে জনপ্রিয়তা অর্জন করবে এবং ইতিহাস প্রমাণ করে যে তিনি সঠিক ছিলেন।

4. Work hard-no excuses:

বিল গেটস উদ্যোক্তাদেরও মনে করিয়ে দেয় যে, তাদের কঠোর পরিশ্রম করা উচিত এবং তারা কেন নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে না বা তাদের সময়কে কাজে লাগাচ্ছে না তার জন্য অজুহাত দেওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন যে, তিনি দিনের বেলা যে ইমেলগুলি পেয়েছিলেন তার উত্তর দিতে  সন্ধ্যা এবং সাপ্তাহিক ছুটি দিন ব্যবহার করেছিলেন, কারণ দিনে উত্তর দেওয়ার সময় ছিল না। তিনি পরবর্তীতে কী করতে চান তা Reflect করতে এবং চিন্তা করতে, বছরে দুই সপ্তাহ ছুটি নেন।

পণ্য এবং পরিষেবা তৈরির ক্ষেত্রে এই ধরণের Motivation এবং initiative এর প্রয়োজন হয়, যা আপনার ব্র্যান্ড প্রচার করতে পারে যা আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে এবং বিশ্বে "Great products" আনতে সহায়তা করবে।

5. You should never stop learning

বিল গেটস এবং তার ভালো বন্ধু ওয়ারেন বাফেট দুজনেই বলেছেন যে, "Curiosity is the single most important factor in their success-This makes perfect sense” জিনিস সম্পর্কে কৌতূহলী হওয়া, জিনিসগুলি কীভাবে কাজ করে তা খুঁজে বের করতে আপনাকে সহায়তা করে। আপনি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যা শিখেছেন তা প্রয়োগ করতে পারেন।

6. Learn from the failure:

যখন হতাশার কথা আসে, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিল গেটসের পরামর্শ, এটি গ্রহণ করার। তিনি নিজের ভুল থেকে শেখা, এবং কান্না এবং হাল ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে,এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

তার জীবনের ব্যর্থতা মোকাবেলা করার জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি, তার একটি বিখ্যাত উক্তি থেকে প্রতিফলিত হয়,

“IT’S GREAT TO CELEBRATE SUCCESS, BUT IT’S MORE IMPORTANT TO HEED THE LESSONS OF FAILURE.”

বিল গেটসের মতে, "Failure,is just as critical as performance" এটি আপনাকে ড্রয়িং বোর্ডে ফিরে যেতে এবং ব্যর্থতার ত্রুটি এবং কারণগুলি অনুসন্ধান করতে বাধ্য করে।

7. Be Ready to Takes Risks:

ব্যবসা শুরু করা একটু জুয়া খেলার মতো, আপনি জিতবেন কি না তা আপনি সবসময় নিশ্চিত নন। যাইহোক, একমাত্র পার্থক্য হল যে আপনি আপনার ব্যবসার সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট কৌশলী এবং পরিকল্পনা করতে পারেন। বিল গেটসের এই উক্তিটি শুধুমাত্র উদ্যোক্তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়, এটি সামগ্রিকভাবে জীবনেও প্রযোজ্য হতে পারে। 

“Business is a money game with few rules and a lot of risk.”–    Bill Gates

বিশ্ব অনিশ্চয়তায় ভরা। জীবনের কোন নিয়ম নেই এবং আপনার গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে কিছু জিনিস ত্যাগ করতে হবে। লোকেরা আপনাকে অগ্রাহ্য করবে এবং আপনাকে প্রত্যাখ্যান করবে কিন্তু দিনের শেষে, যদি আপনি চালিয়ে যাওয়ার সাহস জোগাতে সক্ষম হন তবে কিছুই আপনার পথে পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না ।

8. Be Committed and Passionate:

আপনি যা পছন্দ করেন তার প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (committed) হওয়া দরকার এবং আপনি যা করেন তার প্রতি আপনার দুর্দান্ত আবেগ ((passion) থাকতে হবে। এই পৃথিবীর সফল মানুষ গুলো, এটিকে এত সহজ দেখায় কারণ তারা যা করছে তা তারা পছন্দ করে। আপনি যদি খুব Stressful এবং খুব কঠিন জিনিস খুঁজে পান, তাহলে আমি নিশ্চিত নই যে আপনি সঠিক কাজ করছেন।

9. Believe in your vision:

যখন তিনি প্রথমবারের মতো উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মটি বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন, তখন থেকেই গেটস উদ্যোক্তাদের বলেছিলেন- "Believe in your vision"

He stresses that, “To be successful as an entrepreneur, you have to have a sense of vision that far surpasses your present status quo”. Even if you do not have a plan as to how you are going to make your vision work, you must always keep it in mind if you are going to reach your goals.

 

10. Life is the best school, not university or college:

আপনি যতই বই পড়ুন না কেন, আপনি যতই পরীক্ষা দিন না কেন, বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের কোন কিছুই আপনাকে বাস্তব জগতে জীবনের জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে পারে না।

“If you think your teacher is tough, wait until you get a boss. He doesn’t have tenure.” – Bill Gates

11. Recruit the best people:

আপনার সর্বদা সেরা লোকদের পাওয়া এবং নিয়োগ করা উচিত। তারপর তাদের প্রশিক্ষণ দিন এবং কীভাবে তাদের রাখা যায় তা তা চিন্তা করুন। best people নিয়োগ করতে, কিছু সময় লাগে। His competitor, Steve Jobs called them “A players” কোনটি আগাছা করা উচিত এবং কোনটি রাখা উচিত তা আপনাকে জানতে হবে। আপনার সর্বদা Quantity চেয়ে Quality কে প্রথমে রাখা উচিত । এমন Specialists দের সন্ধান করুন যারা আপনার Idea তে বিশ্বাস করে ।

12. Enjoy what you love to do:

একটি সাক্ষাৎকারে, বিল গেটস বলেছিলেন যে মানুষের প্রতিদিনের কাজগুলি উপভোগ করা উচিত। তিনি জনপ্রিয় ছিলেন কারণ তিনি মাইক্রোসফটের সিইও হিসেবে তার ভূমিকায় বলেছিলেন যে, তিনি স্মার্ট মানুষের সাথে কাজ করতে এবং নতুন সমস্যা সমাধান করতে উপভোগ করেন। গেটস বিশ্বাস করেন যে আপনি যা করেন তা আপনাকে অবশ্যই উপভোগ করতে হবে, যাই হোক না কেন। গেটস বলেছেন যে আপনার কেবলমাত্র আপনার পছন্দের কাজটিই করা উচিত যাতে আপনি এটি নিয়মিত করার জন্য আরও অনুপ্রাণিত হন।

Bill Gates career has been marked by his incredible vision. Microsoft beat out the competition largely because they were always looking one step ahead, to the next revolutionary idea.

The lesson here: if you want to get ahead in business, think ahead.

...See More
বাংলাদেশের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ব্লগ থাকার উপকারিতা…

বাংলাদেশের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ব্লগ থাকার উপকারিতা…

প্রথমেই জেনে নেয়া যাক ব্লগ আসলে কি ?... 

ব্লগ হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট এর অংশ যেখানে আপনি আপনার ব্যবসায়ের, পণ্যের, অথবা বর্তমান মার্কেট এ ঘটে যাওয়া সকল তথ্য প্রকাশ করতে পারেন। এক্ষত্রে আপনার ব্যবসা অনুযায়ী ব্লগ এর ধরণ নির্ভর করবে।

উদাহরণ- ১ মনে করেন আপনি “Mobile Accessories” নিয়ে কাজ করনে তাহলে আপনি ওই সকল এক্সসরিজ ব্যাভহারের ভিবিন্ন টিপ্স এবং ট্রিক্স নিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।

উদাহরণ- ২ মনেকরেন  আপনি “Weight Loss” আইটেম নিয়ে কাজ করনে তাহলে আপনি ভিবিন্ন “Weight Loss” আইটেম ব্যাবহারের ভিবিন্ন টিপ্স এবং ট্রিক্স নিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন এই ক্ষত্রে ইতে পূর্বে আপনার পণ্য জারা ব্যাবহার করেছে তাদের নিয়ে প্রমান সহ কিছু ব্লগ লিখতে পারবে যা আপনার বিক্রয় বিদ্ধিতে অনেক ভড় ভুমিখা রাখবে।

কিন্তু এখানে বলে নেয়া ভালো, আপনি যদি সময় নিয়ে, ইউনিক ব্লগ লিখতে না পারেন,তাহলে ব্লগ থাকা আর না থাকা সমান কথা।

আমরা সর্বদাই আমাদের ক্লাইন্টদের প্রয়োজনীতা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে ব্লগ লিখে থাকি। এতে করে দেখা যায়, দিনশেষ এ তারা একটি ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসে এবং আমরাও আমাদের দিক থেকে নিশ্চিন্ত থাকি।

 ই-কমার্স ওয়েবসাইটে ব্লগ থাকার উপকারিতা…

  • ব্লগ এর মাধ্যমে আপনি আপনার পন্য/সেবার ভিবিন্য দিক সম্পর্কে গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে পারবেন ।
  • একটি ব্লগ আপনার পন্যা সম্পর্কে গ্রাহকের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনে সাহায্য করবে।
  • একটি ব্লগ আপনাকে নতুন ক্রেতা আপনার ওয়েবসাইটে টেনে আন্তে সহযোগিতা করবে
  •  নতুন কোন পণ্য/ সার্ভিস নিয়ে আসলে ব্লগের মদ্ধমে গ্রাহকে পরিপূর্ণ ধারনা দিতে পারবেন।
  •  গ্রাহক কোন পণ্যের সরাসরি বিক্রয় বিজ্ঞাপন এর চাইতে ওই পণ্য ব্যাবহারে   উপকারিতি ও ব্যাবহার পদ্দতি সম্পর্কে যানতে বেশি আগ্রহি থাকে।
  • আপনি সহজেই ব্লগ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করতে পারবেন। এতে করে আপনার পোস্টগুলির আশেপাশে একটি সম্প্রদায় অথবা কমিউনিটি তৈরি করতে আপনাকে সাহায্য করবে
  • এসসিও সম্পর্কে সকলের একটা হালকা ধারণা রয়েছে আমি মনে করিI এসইওর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল লিঙ্কিং। ব্যবহারকারীদের দরকারী তথ্য সরবরাহ করার সময় আপনি যদি আপনার ব্যবসায় ধরণ অথবা পণ্য নিয়ে আলোচনা করে এমন ব্লগ পোস্ট তৈরি করেন তবে এটি ট্রাফিক তৈরি করতে পারে এবং সার্চ ইঞ্জিন সাথে র‌্যাঙ্কিং উন্নত করতে পারে।
  • একটি ব্লগ আপনার আগ্রহের একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আপনার খ্যাতি তৈরি করতে পারে।
  • গবেষণা থেকে দেখা যায় যে প্রায় 80% সংস্থাগুলি "এখনই কিনুন" এজেন্ডার পরিবর্তে ধারাবাহিক নিবন্ধ আকারে বিজ্ঞাপন দেওয়া পছন্দ করে। আর এই ব্লগ এর মাধ্যমেই আপনি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেনI

এছাড়াও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতার জন্য ব্লগ সেকশন এর খুবই প্রয়োজনI এখনো যারা মনে করছেন এর উপকারিতা হয়তো সীমিত সময়ের জন্য, তাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথাই বলার আছেI যতদিন পর্যন্ত আপনি আপনার ক্রেতাকে সঠিক পথ নির্দেশনা দিতে পারবেন, ঠিক ততদিন পর্যন্তই আপনার ব্যবসায়ের চাকা চলতে থাকবেI

 বিঃদ্রঃ-  খুব শিগ্রহী আরেকটি লেখা প্রকাশ করবো ব্লগ লেখার ভিবিন্ন নিয়ম নিয়ে সাথেই থাকুন ...

...See More
ফ্যাশন ডিজিটাল মার্কেটিং: বিক্রয় বৃদ্ধির ৭ কৌশল

ফ্যাশন ডিজিটাল মার্কেটিং: বিক্রয় বৃদ্ধির ৭ কৌশল

জিন্স কেনার উদ্দেশে একদিন একটা ফ্যাশন স্টোরে ঢুকলাম | তো অনেকক্ষণ খোজাখুজির পর একটা দারুন জিন্স পাইলাম-কমফরটেবল এবং পরে দেখলাম বেশ ভালো লাগছে | যাইহোক মোটামুটি মাইন্ডসেট নিয়ে নেব, এমন সময় দেখলাম জিন্স টা হাটুর কাছে একটু ছেড়া | সেলস পারসনকে বললাম ভাই এটা ছেড়া আপনি আরেকটা দেখান | সে এই কথা শোনা মাত্র কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলো – তারপর বলল স্যার এটা ছেড়া না এটা ফ্যাশন, এটাকে বলে টর্ন জিন্স | আমি বললাম ওহ: আচ্ছা | মনে পরে গেল রবিন্দ্রনাথের সেই মহান উক্তি – ‘ফ্যাশন হলো মুখোশ আর স্টাইল হলো মুখশ্রী’|
উপরের কথা গুলা আসলে বলার উদ্দেশ্য হলো একজন ফ্যাশন মার্কেটারকে ফ্যাশন, স্টাইল, বর্তমান সময়ের ফ্যাশন ট্রেন্ড, টার্গেট অডিয়েন্স ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে | কারণ নরমাল মার্কেটিং এবং ফ্যাশন মার্কেটিংয়ের মধ্যে একটু পার্থক্য আছে যেমন ধরুন ২২ বছর বয়সের একজন সাধারণ মেয়ে এবং একই বয়সের একজন ছাত্রীর ফ্যাশন বা স্টাইল এক না | সুতরাং একজন ফ্যাশন মার্কেটারকে, সে যে পোশাকের জন্য মার্কেটিং করতে যাচ্ছে সেইটাকে মাথায় রেখে টার্গেট অডিয়েন্স সেট করতে হবে|

বাংলাদেশে সারা বছরে প্রায় আট হাজার কোটি টাকার মার্কেট ধরতে ছুটে চলেছে প্রায় সাড়ে পাচ হাজারের উপরে ফ্যাশন ও বুটিক হাউস গুলো সাথে আছে এক হাজারের উপরে ই-কমার্স সাইট ও ১০ হাজারের মত ফেইসবুক পেজ (ফেইসবুকের মাধ্যমে পণ্য বেচার পেজ). এখন প্রশ্ন হলো এত বড় ফ্যাশন মার্কেটের ভিড়ে কিভাবে নিজের ব্র্যান্ডকে একটু আলাদা করবেন, উত্তর একটাই – ফ্যাশন ডিজিটাল মার্কেটিং |

এবার আসা যাক – ফ্যাশন ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মাধ্যমে কিভাবে আপনার ব্র্যান্ড প্রেজেন্সকে আরও শক্তিশালী এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করতে পারবেন |

১. রিটার্গেটিং

সাধারণতঃ মানুষ একবার কোনো অ্যাড বা ওয়েবসাইট ভিজিট করেই পণ্য কেনার ডিসিশন নেয় না বা নিতে পারে না | কারণ অনলাইনে মানুষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মুডে থাকে | এই ক্ষেত্রে সমাধান হলো আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদের কে রিটার্গেটিং করা | গুগল অ্যাডওয়ার্ডস এবং ফেইসবুক উভয়ই রিটার্গেটিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন | রিটার্গেটিং হলো কোনো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট একবার ভিজিট করার পর সে অনলাইনে যেখানেই যাক আপনার অ্যাড দেখতে পাবে | এভাবে যদি সে প্রতিদিন ১০-১৫ বার আপনার ব্র্যান্ডের বিভিন্ন অ্যাড দেখে কোনো এক সময় সে প্রোডাক্ট কিনে ফেলবে আর যদি নাও কিনে অনন্ত আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে জেনে গেল |

২. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংকে বলা হয় ফিউচার মার্কেটিং কিন্তু এটা এখন আর ফিউচার না বর্তমানে এর সাকসেস রেট অনেক বেশি তাছাড়া এটা সামগ্রিক মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বহন করে | ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হলো একটা ব্র্যান্ডকে ইন্ডাস্ট্রির ‘কী পিপুল’ যাদের ইন্ডাস্ট্রিতে একটা ভ্যালু আছে তাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দেয়া | বাইরের দেশে অনেক ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটার পাওয়া যায় কিন্তু বাংলাদেশে এটা নেই বললেই চলে | সেক্ষেত্রে আপনার একটা স্ট্রাটেজি হতে পারে ফ্যাশন মডেলদের কে ব্যবহার করা | ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং-এ সাধারনত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা হয় | তাই সেই সব মডেলদেরকেই ব্যবহার করা ভালো যাদের ফেইসবুক বা ইনস্টাগ্রামে অনেক ফলোযার আছে | এদেরকে ব্যবহার করতে পারেন এই ভাবে যে আপনি আপনার ব্রান্ডের ড্রেস পরিয়ে শুট করে তাদের পেজ থেকে শেয়ার করা অথবা তাদের পেজ থেকে আপনার ব্র্যান্ডকে রিভিউ বা এনডোর্স করা | এতে যেটা হয় নতুন অডিয়েন্স পাশাপাশি এক্জিস্তিং কাস্টমারদের কাছে আপনার ব্রান্ডের বিশ্বাস যোগ্যতা বাড়ে |

৩. ইমেইল বা এস.এম.এস রিমাইন্ডার

আপনার ওয়েবসাইটে এমন কিছু ভিজিটর আছে যারা কদাচিত অথবা নিয়মিত কেনাকাটা করে আপনার ওয়েবসাইট অথবা স্টোর থেকে| এই ক্ষেত্রে যেটা হয় অনেক সময় তারা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজে বিভিন্ন সময়ে ভিজিট করে এবং তাদের পছন্দসই পণ্য গুলো ‘ফেভারিট’ বা ‘অ্যাড টু কার্ট’ লিস্টে রেখে দেয় পরে কিনবে তাদের সুবিধামত সময়ে এই সব চিন্তা করে | একজন মানুষের কাছে আসলে অনেক ব্র্যান্ডই ভালো লাগতে পারে তো সেই কারণে সে সব ব্রান্ডের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এবং তার পছন্দসয় পণ্য গুলা ‘ফেভারিট’ বা ‘অ্যাড টু কার্ট’-এ রেখে দিতে পারে | এই ক্ষেত্রে যেটা হয় সে অনেক সময় ভুলে যেতে পারে আপনার ব্র্যান্ডকে কারণ সে তার প্রিয় ব্র্যান্ড গুলোর সব ওয়েবসাইটেই এগুলা করে থাকে | সুতরাং তাদেরকে মানে যারা আপনার ওয়েবসাইটে ‘ফেভারিট’ বা ‘অ্যাড টু কার্ট’-এ পণ্য পছন্দ করে রেখেছে তাদেরকে টার্গেট করে ইমেইল বা এস.এম.এস রিমাইন্ডার দিতে পারেন | এতে আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে |

৪. বার্থডে উইশিং

বার্থডে বা জন্মদিন সব সময়ই সবার কাছে একটা আবেগের বিষয় | আর একজন মার্কেটারকে সেটাই পুঁজি করে তার কাস্টমারকে নার্চার করতে হয় | বার্থডেতে আসলে একজনকে অনেক জায়গা থেকে উইশ করে – তার পরিবার থেকে, বন্ধুদের কাছ থেকে, প্রিয়জনের কাছ থেকে ইত্যাদি এবং সে এটা আশাও করে | এখন যদি আপনি আপনার কাস্টমারকে বার্থডেতে উইশ করেন, তখন তার কাছে এটা একটু আলাদা মনে হবে, আশ্চর্য হবে এবং ভাববে আপনি তাকে আলাদা কেয়ার করছেন বা ভ্যালু দিচ্ছেন কারণ এটা সে আশায় করে না | এভাবে আপনার ব্র্যান্ডের লয়ালটি পাশাপাশি বিক্রিও বাড়বে | এখন প্রশ্ন হলো এটা আপনি কিভাবে করবেন ? খুব সিম্পল | যারা আপনার শপ বা অনলাইনে এসে পণ্য কেনে তাদের কাছ থেকে তাদের নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেল আইডি এবং জন্মদিন সংগ্রহ করে ডাটাবেসে রেখে দিন | এবার প্রতিদিন ঐ ডাটাবেসকে ব্যবহার করে তাদেরকেই ইমেল ও এস.এম.এস পাঠিয়ে উইশ করুন যাদের ঐদিনে জন্মদিন | এই ক্ষেত্রে আপনি তাদেরকে বিশেষ অফারও (যেমন ১০% ডিসকাউন্ট) দিতে পারেন | এতে আপনার বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে |

৫. স্টাইল গাইড

স্টাইল গাইড হলো একটা ব্রান্ডের যে বিভিন্ন রকম পোশাক যেমন শার্ট, টি-শার্ট, ডেনিম, বটম, সালোয়ার-কামিজ, টিউনিক ইত্যাদি সংগ্রহ থাকে সে গুলোকে নিয়ে একটা বই বা গাইড তৈরী করা যেখানে গল্প আকারে বর্ণনা করা হয় কিভাবে পোশাক গুলা পরতে হয়, কোনটার সাথে কোনটা ম্যাচিং করে পরতে হবে, কখন এবং কোন সিজনে পরলে ভালো হবে, পোশাকের তৈরিতে কি কি উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, কেন এই উপাদান গুলা ব্যবহার করা হয়েছে পাশাপাশি এটা কিভাবে একজন ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলবে ইত্যাদি |
এটা হতে পারে বিভিন্ন অকেশন বা সিজনকে টার্গেট করে যেমন স্প্রিং, সামার, উইন্টার, ফল, ওয়েডিং, পার্টি, ওয়ার্ক, ট্রাভেল, হলিডে ইত্যাদি | এটা আপনি আপনার ওয়েবসাইটে রেখে প্রমোশন করতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া, এস.এম.এস বা ইমেইল মার্কেটিং-এর মাধ্যমে অথবা লিফলেট আকারে বিলি করতে পারেন যেটা আপনার বিক্রয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে |

৬. নার্চারিং পিপল

যারা প্রথম আপনার স্টোর বা ওয়েবসাইটে আসে সাধারনত সব সময় তারা কোনো প্রোডাক্ট কিনতে প্রস্তুত থাকে না | ওই সমস্ত কাস্টমারের কাছ থেকে খুব কৌশলে নাম, মেইল আইডি বা ফোন নম্বর নিয়ে রাখতে পারেন | তারপর তাদেরকে টার্গেট করে এস.এম.এস বা ইমেইল মার্কেটিং করে তাদেরকে জানাতে পারেন আপনার নতুন নতুন কালেকশন, এক্সক্লুসিভ কালেকশন, সিজনাল কালেকশন ইত্যাদি এবং যখন আপনি এটা করবেন তখন সে এর মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ডকে রি-কল করতে পারবে এবং এক সময় সে কিছু কেনার জন্য আপনার স্টোরে আসবে এবং কিনবে |

৭. গিফট গাইড

১২ মাসে ১৩ পার্বনের দেশ বাংলাদেশ | তাই বছর জুড়েই আসলে কোনো না কোনো অনুষ্ঠান লেগেই থাকে বাংলালির জীবনে যেমন জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, ভেলেন্টাইন ডে, মাদারস ডে, ঈদ, পূজা ইত্যাদি এবং মানুষ বছর জুড়েই এই সব সামাজিক অনুষ্টানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গিফট কিনে থাকে তার প্রিয় মানুষদের জন্য | মানুষ সব সময় কাউকে কোনো কিছু গিফট করতে গিয়ে একটু দ্বিধাদন্দে ভোগে-কি দেব, কেমন জিনিস দিলে ভালো হবে, কোথায় পাব ইত্যাদি | আর সুজোগটাকেই ফ্যাশন মার্কেটাররা ব্যবহার করতে পারে যেমন তারা জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, ভেলেন্টাইন ডে, মাদারস ডে, ঈদ, পূজা ইত্যাদি বিষয় গুলা মাথায় রেখে গিফট গাইড তৈরী করতে পারে | গিফট গাইড হলো আসলে কিছু আইটেম-এর সমষ্টি যেটা আপনি আপনার স্টোর বা অনলাইনে বিক্রি করতে চান | এবং এই গিফট গাইড টা আপনি আপনার ওয়েবসাইটে রেখে প্রমোশন করতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়া, এস.এম.এস বা ইমেইল মার্কেটিং-এর মাধ্যমে যেটা আপনার বিক্রয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে |

...See More
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়েব হাব এবং ডেলিভারী কোম্পানী ই-কুরিয়ার এর মাঝে ব্যাবসায়ীক সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়েব হাব এবং ডেলিভারী কোম্পানী ই-কুরিয়ার এর মাঝে ব্যাবসায়ীক সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান “ওয়েব হাব” এর সাথে বাংলাদেশ অন্যতম সেরা ডেলিভারী কোম্পানী “ই-কুরিয়ার লিমিটেড” এর মাঝে ব্যাবসায়ীক সমঝোতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। “ওয়েব হাব” মূলত ইকমার্স সল্যুশন,  ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট, ক্লাউড হোস্টিং, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষে ওয়েব হাব সারাদেশে ২০২১ সালের মাঝে ১০০০ ইকমার্স উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ইকমার্স উদ্যোক্তাদের অনেকগুলো সমস্যার মাঝে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো পার্সেল ডেলিভারী। পার্সেল ডেলিভারী সমস্যার সমাধান হিসেবে ডেলিভারী কোম্পানী “ই-কুরিয়ার লিমিটেড” এর সাথে সমঝোতা চুক্তি সম্পাদিত হলো।

 

ওয়েব হাব এর সকল ইকমার্স উদ্যোক্তাদের কে “ই-কুরিয়ার লিমিটেড” অগ্রাধিকার  ভিত্তিতে সাপোর্ট এবং সার্ভিস প্রদান করবে। উক্ত সমঝোতা চুক্তি অনুষ্ঠানে “ই-কুরিয়ার লিমিটেড” পক্ষে উপস্থিত ছিলেন “ই-কুরিয়ার লিমিটেড” এর সি.ই.ও বিপ্লব ঘোষ রাহুল, অপারেশন হেড বিজিত কুমার, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার অলক এবং “ওয়েব হাব” পক্ষে উপস্থিত ছিলেন “ওয়েব হাব” এর কো-ফাউন্ডার এবং সি.ই.ও মো রুবেল মাহমুদ এবং সি.এস.ও মোঃ রাশিদ আবিদ।

এই চুক্তির ব্যাপারে “ই-কুরিয়ার লিমিটেড” এর সি.ই.ও জনাব বিপ্লব ঘোষ রাহুল বলেন যে, এই চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার আগে “ওয়েব হাব” এর টপ ম্যানেজমেন্ট এর সাথে আমার এবং আমার টিম লীডারদের অনেক বার আলোচনা হয়েছে। ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রি তে নতুনদের নিয়ে “ওয়েব হাব” এর টিম ম্যানেজমেন্ট এর সকল প্রকার চিন্তা ভাবনাই আমাকে উক্ত চুক্তি সম্পাদনে আগ্রহী করে তুলেছে। ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তাদের চিন্তা ভাবনার অংশীদার হতে পেরে টীম ই-কুরিয়ার খুবই খুশি।

 

“ওয়েব হাব” এর সি.ই.ও মোঃ রুবেল মাহমুদ বলেন যে, ২০১১ সাল থেকে ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রি তে কাজ করছি এবং এই ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি যে অনলাইনে ব্যাবসা করতে হলে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সে অভিজ্ঞতা থেকেই “ওয়েব হাব” এর যাত্রা শুরু। ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রি তে অনেক সমস্যার মাঝে অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো নিশ্চিন্তে নিরাপদে প্রোডাক্ট ডেলিভারী। কুরিয়ার ইন্ডাস্ট্রী তে মার্কেট লিডার “ই-কুরিয়ার লিমিটেড” এর “ওয়েব হাব” এই সমঝোতা চুক্তিটি আমাদের সকল ক্লায়েন্টদের ডেলিভারী সমস্যার সমাধান। উক্ত চুক্তি সম্পাদনে “টীম ই-কুরিয়ার” কে ধন্যবাদ জানাই।

“ওয়েব হাব” এর সি.ই.ও মোঃ রুবেল মাহমুদ আরো বলেন যে, শুধু মুনাফা করতে নয় বরং সার্টিফাইড বেকারদের বেকারত্ব দুরীকরণে শুরু আমাদের এই উদ্যোগ। আপনার ইকমার্স ব্যাবসা পরিচালনা করতে যাবতীয় কিছুতে আমরা সাপোর্ট দিবো। একদম শুরু থেকে বললে আপনার কোম্পানীর লোগো ডিজাইন থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং সহ সব কিছুতে “টিম ওয়েব হাব” আপনার ছায়া সঙ্গী হয়ে সাপোর্ট দিবে। আপনি শুধু আমাদের কাছ থেকে সার্ভিস নেন, ব্যাবসা শুরু করুন এবং শুধু ব্যাবসাই করুন, অন্য সকল চিন্তা ভাবনা আমাদের উপর ছেড়ে দিন।

...See More